প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:৪৪
ইলিশ জাল জেলে ও সাম্পানে সাজানো সৌন্দর্যে ফুটে উঠেছে দুর্গাপূজার মণ্ডপ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক বার্তা বহনকারী সাজসজ্জা নিয়ে 'ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর' নামকরণে ব্যতিক্রমী দুর্গাপূজার মণ্ডপ সাজিয়ে নজর কেড়েছে একটি দুর্গাপূজা মণ্ডপ। চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার দাসপাড়া সার্বজনীন কালী মন্দির ও দুর্গা মন্দির কমিটির আয়োজনে এই পূজা মণ্ডপের কারুকাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
|আরো খবর
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দারুণ আকর্ষণীয় এই পূজো মণ্ডপটি দেখতে সনাতনী ভক্তদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
সপ্তমী পূজার দিন সরজমিনে দেখা যায়, ১৮ শতাংশের জায়গা জুড়ে নানা রংয়ের বাতি ও ডেকোরেশনের কাজে পূজো মণ্ডপটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে জেলে, জাটকা ইলিশ, মা ইলিশ, কারাগারে অপরাধী জেলে, সাম্পান নৌকা দিয়ে জেলেদের মাছ ধরা, নদী, জাল, ক্রেতার ইলিশ মাছ কেনা-বেচা, ইলিশ চত্ত্বরসহ প্রাকৃতিক নানা দিক। ইলিশময় পুরো এই সাজসজ্জাময় মণ্ডপটির নাম দেয়া হয়েছে 'ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর'। আর আয়োজকরা এই উদ্যোগে এবারের প্রতিপাদ্য রেখেছে 'মা আসছে জীবনের বার্তা নিয়ে, নদী বাঁচুক-ইলিশ ফিরুক ঘরে'।
পুরাণবাজার দাসপাড়া সার্বজনীন কালী মন্দির ও দুর্গা মন্দির কমিটির পূজোর সমন্বয়ক উৎপল দাস ও সঞ্জয় মজুমদার বলেন, আমরা এ নিয়ে এখানে ১৮তম পূজোর আয়োজন করছি। এই মন্দির কমিটি সবসময়ই প্রাকৃতিক বিলুপ্তির পথে সৌন্দর্য ও সমাজ সংস্কারক বার্তা নিয়ে কাজ করে। সে ধারাবাহিকতায় এবার এই সাজসজ্জা। এর পুরো খরচ যুগিয়েছে আয়োজক কমিটি এবং পুরাণবাজারের দাসপাড়াবাসী।
তারা আরও বলেন, মা দুর্গার আরাধনার পাশাপাশি পূজোর দিনগুলোতে পূজো দেখতে আসা ভক্তদের জন্যে মহাঅষ্টমীর দিন অঞ্জলি ও দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ, অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, সন্ধ্যায় আরতি ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া আরতিসহ নানা পর্বের এই আয়োজন চলবে বৃহস্পতিবার পূজোর শেষ দিনের সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর পুরো আয়োজনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে অজিত দাস, সুমন দাস, পলাশ দাস রাম, সুমন, রিপন দাস, সুশীল দাস, গৌতম দাসের তত্ত্বাবধানে ২০ থেকে ২৫ জনের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী রেখেছি। যারা নির্বিঘ্নে পূজার্চনা ও ভক্তদের পূজো দেখতে আসা যাওয়ায় সহায়তা করবে।