মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:১৫

আজমির হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে গরিব অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

সোহাঈদ খান জিয়া।।
আজমির হোটেল এন্ড  রেস্টুরেন্টে গরিব অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের মাথায় অবস্থিত আজমির হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের পরিচালক মো. আল আমিন মোল্লা নীরবে গরিব ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করে আসছেন। দু বছর ধরে তিনি এ কাজটি করে আসছেন।

জানা যায়, হোটেল পরিচালক মো. আল আমিন মোল্লা দু বছর ধরে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পরে গরিব ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করে আসছেন।

প্রতি শুক্রবার ৫০ জন গরিব ও অসহায়কে জনপ্রতি ১টি করে খাবারের প্যাকেট বিনামূল্যে বিতরণ করেন। গরিব অসহায় মানুষগুলো হোটেলে এসে খাবারের প্যাকেটগুলো নিয়ে যান।

এক শুক্রবার ভাতের সাথে গরুর মাংস, আরেক শুক্রবার ভাতের সাথে মুরগি ও আরেক শুক্রবার মুরগির বিরানি দেয়া হয়। এভাবে দু বছর ধরে নীরবে অসহায় ও গরিবদের পাশে থেকে সাহায্য করে আসছেন হোটেল মালিক আল আমিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাবার নেয়া দু জন বলেন, আমরা প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে এখান থেকে খাবারের প্যাকেট নিয়ে যাই। দু বছরের মতো এখান থেকে প্রতি শুক্রবার খাবার নিয়ে খাই।। আল্লাহ তার মঙ্গল করুক।

এ ব্যাপারে হোটেল মালিক মো. আল আমিন মোল্লা বলেন, আমার বাবা মো. ইউনুস মোল্লা আজমির শরীফের ভক্ত ছিলেন। সে সুবাদে হোটেলের নাম দেন আজমির হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট। বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি হোটেলের দায়িত্ব নেই। বাবা ২০২০ সালে মারা যান। গত দু বছর ধরে দান হিসেবে প্রতি শুক্রবার ৫০ জন গরিব ও অসহায়ের মাঝে নীরবে খাবারের প্যাকেট দিয়ে থাকি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ও হোটেল যতদিন থাকবে, ততদিন গরিব ও অসহায়দেরকে এভাবে খাবার দিয়ে যাবো।

উল্লেখ্য, মৃত ইউনুস মোল্লা ১৯৭০ সালে চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার মেইল গুদারাঘাটে আজমির হোটেল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১২ সালে হোটেলটি মিশন রোডে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়