প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪২
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় মনোযোগী হওয়া জরুরি

জ্ঞান সৃষ্টির আলোকবর্তিকা। একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও অর্থনীতির ভিত্তি হলো গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান ও ডিগ্রি বিতরণের স্থান নয়, বরং নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, সমস্যা সমাধান এবং উদ্ভাবনের কেন্দ্র। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন যথার্থই বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে হতে হবে গবেষণা ও উদ্ভাবনের ইঞ্জিন।” এই ইঞ্জিনের গতি যত শক্তিশালী হবে, জাতীয় অর্থনীতির চাকা তত দ্রুত ঘুরবে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গবেষণার মান ও পরিমাণের দিক থেকে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি সমূহ)) অর্জনের প্রশ্ন সামনে আসে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার আবশ্যকতা অনস্বীকার্য হয়ে দঁাড়ায়।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা : একটি পরিসংখ্যানগত চিত্র (২০২২-২০২৩)
উচ্চশিক্ষা তদারকি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর তথ্য অনুসারে, দেশের উচ্চশিক্ষা খাত বর্তমানে এক বিশাল কাঠামোতে দঁাড়িয়ে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় : বর্তমানে দেশে অনুমোদিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৫টি (এর বাইরে জাতীয়, উন্মুক্ত ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে)।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় : অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৪টি, যার মধ্যে প্রায় ১০০টি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মোট বিশ্ববিদ্যালয় : সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ১৬৯টি।
ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা (২০২২-২০২৩) : উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, অধিভুক্ত কলেজ ও মাদ্রাসার বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী (যা ৪৪ লাখেরও বেশি) এই পরিসংখ্যানের অন্তর্ভুক্ত থাকে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের (জাতীয়, উন্মুক্ত ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে) কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো :
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (৫০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে) শিক্ষার্থী (২০২৩) : প্রায় ২, লাখ ৯৬ হাজার ৬৯৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২ লাখ ৫ হাজার ৪৩০ জন এবং ছাত্রী ৯১ হাজার ২৬৬ জন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী (২০২৩) : প্রায় ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যায় ছাত্র এগিয়ে থাকলেও, কিছু উন্নত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ভর্তির হার আশাব্যঞ্জক।
মোট শিক্ষার্থীর এই বিশাল সংখ্যা প্রমাণ করে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শুধু জ্ঞান বিতরণ নয়, বরং মানসম্মত গবেষণার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতের জন্যে প্রস্তুত করার গুরুদায়িত্ব রয়েছে।
গবেষণা খাতে বার্ষিক ব্যয় ও তুলনামূলক চিত্র :
বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ব্যয়ের তুলনায় গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে নাজুক দিকগুলোর একটি। ইউজিসির বিভিন্ন বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে :
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট গবেষণা ব্যয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম। উদাহরণস্বরূপ, ২০২০ সালে ৩৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মোট প্রায় ৭২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। ২০১৯ সালে ৮৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মোট ১০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় করেছে।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মোট বাজেটের মাত্র ১.১৪% (২০১৯-এর তথ্যানুসারে) গবেষণায় ব্যয় করে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তুলনামূলকভাবে এগিয়ে আছে, তারা মোট ব্যয়ের প্রায় ২.৯৬% (২০১৯-এর তথ্যানুসারে) গবেষণায় ব্যয় করে।
শীর্ষ গবেষণা ব্যয়কারী (২০২৩) : সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করলেও এর পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম (যেমন, এক রিপোর্টে মাত্র ৮ কোটি টাকা)।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গবেষণায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ব্যয় করে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগতভাবে শীর্ষ গবেষণা ব্যয়কারী হিসেবে পরিচিত।
এই পরিসংখ্যানের প্রধান বার্তা হলো : দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতির জন্যে প্রয়োজনীয় হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের মোট ব্যয়ের মাত্র ১ থেকে ৩ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখছে। উন্নত দেশগুলোতে এই হার সাধারণত ২-৩% বা তার বেশি হয়ে থাকে।
গবেষণার ক্ষেত্র ও অর্জন : অপ্রতুল বরাদ্দ সত্ত্বেও, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সীমিত আকারে গবেষণা চলছে। প্রধানত কয়েকটি ক্ষেত্রে এই গবেষণাগুলো পরিচালিত হয় :
কৃষি ও মৎস্য : দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চফলনশীল ফসল, নতুন জাতের বীজ ও মাছ উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যেমন, ধানের নতুন জাত উদ্ভাবন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষির ওপর গবেষণা।
চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য : বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা, ভ্যাকসিন উন্নয়ন এবং জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরিপ। করোনাকালীন সময়ে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় মনোযোগ দেয়।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল : সীমিত পরিসরে নবায়নযোগ্য শক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি, সফটওয়্যার উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ে কাজ চলছে।
সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক : দারিদ্র্য, জেন্ডার সমতা, সুশাসন, অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি নিয়ে কিছু মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা হচ্ছে।
গবেষণার দুর্বলতা ও চ্যালেঞ্জসমূহ :
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার প্রধান দুর্বলতাগুলো নিম্নরূপ :
অর্থের অপ্রতুলতা : গবেষণার জন্যে প্রয়োজনীয় নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ নেই। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে ২৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় কোনো অর্থই ব্যয় করে না।
অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতির অভাব : অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, উন্নত যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের অভাব গবেষণা কার্যক্রমে প্রধান বাধা।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্বলতা : শিক্ষক নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে গবেষণার বদলে অন্যান্য বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষকদের গবেষণা করার তাগিদ কমে যায়।
মানসম্মত শিক্ষকের অভাব : অনেক নতুন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নবীন ও খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে চলছে, যাদের মানসম্মত গবেষণার অভিজ্ঞতা কম।
শিল্প-একাডেমিয়া সংযোগের অভাব : শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার খুব কম যোগাযোগ রয়েছে। ফলে গবেষণাগুলো সমাজের প্রয়োজন মেটাতে পারে না।
রাজনৈতিক অস্থিরতা : বিশেষত কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা গবেষণার অনুকূল পরিবেশ নষ্ট করে।
গবেষণার সংস্কৃতি ও মেন্টরশিপের অভাব : গবেষণার অগ্রগতি নিরীক্ষণ ও পদ্ধতি মূল্যায়ন দুর্বল হওয়ায় অনেক সময় অপ্রতুল বরাদ্দও সঠিকভাবে কাজে লাগে না। এছাড়া তরুণ গবেষকদের জন্যে পর্যাপ্ত পেশাগত পরামর্শ ও মানসিক উৎসাহের অভাব রয়েছে।
বিশ্ব র্যাংকিংয়ে অনুপস্থিতি : গবেষণার মান ও পরিমাণের দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে (যেমন : টাইমস হায়ার এডুকেশন) শীর্ষ ৫০০-তে জায়গা করে নিতে পারে না।
সফলতার উপায় এবং করণীয়
গবেষণায় কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জনের জন্যে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো জরুরি :
নীতি ও আর্থিক সংস্কার :
ন্যূনতম বরাদ্দ নিশ্চিত করা : ইউজিসি এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট বাজেটের ন্যূনতম ৫ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
গবেষণা গ্র্যান্ট ও ফেলোশিপ বৃদ্ধি : ইউজিসি ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বৃত্তি এবং ফেলোশিপের সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে।
বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা : গবেষণা খাতে বিনিয়োগের জন্যে শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতকে কর রেয়াত বা অন্যান্য সুবিধা প্রদান করতে হবে, যাতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যৌথ গবেষণা প্রকল্প হাতে নিতে পারে।
প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত উন্নয়ন :
গবেষণাবান্ধব শিক্ষক নিয়োগ : শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে গবেষণার অভিজ্ঞতা ও মানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
উন্নত ল্যাবরেটরি স্থাপন : আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মানসম্মত ল্যাবরেটরি এবং গবেষণা অবকাঠামো স্থাপন করতে হবে।
ইথিক্যাল রিভিউ কমিটি শক্তিশালীকরণ : গবেষণার নীতিশাস্ত্র (ethics) ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্যে ইথিক্যাল রিভিউ কমিটিগুলোকে আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করতে হবে।
জ্ঞান আদান-প্রদান : বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণার ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন ও যৌথ গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
গবেষণা সংস্কৃতি তৈরি :
শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা : স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক কাজে হাতে-কলমে সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
আন্তঃবিভাগীয় গবেষণা : শুধুমাত্র নিজ বিভাগের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্তঃবিভাগীয় (Inter-disciplinary) গবেষণা প্রকল্প চালু করতে হবে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা : গবেষণা ফান্ডের ব্যবহার ও গবেষণা ফলাফলের গুণগত মান নিশ্চিত করতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় মনোযোগী হওয়া’ শুধু একটি উপদেশ নয়, বরং বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন ও প্রগতির জন্যে এটি একটি জাতীয় কৌশলগত বিনিয়োগ। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো জ্ঞান সৃষ্টির মূল চালিকাশক্তি, আর এই জ্ঞানই একটি দেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমান প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও, কিছু শিক্ষকের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা এবং কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক উদ্যোগ আমাদের আশার আলো দেখায়। তবে, এই বিচ্ছিন্ন সফলতা যথেষ্ট নয়। সামগ্রিকভাবে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে সরকারকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে একটি জাতীয় গবেষণা কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। সেই কৌশল বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ, মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ এবং গবেষণার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল কিছু সংখ্যক ডিগ্রিধারী তৈরি করা নয়, বরং নতুন জ্ঞান ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি জাতি ও বিশ্বকে সমৃদ্ধ করা। এই মহান উদ্দেশ্য সফল করতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই গবেষণার প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে।
লেখক পরিচিতি : প্রভাষক, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ, মেহের ডিগ্রি কলেজ, শাহরাস্তি।