রবিবার, ১১ মে, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩, ০০:০০

দুর্মূল্যের গরুর মাংস এভাবে কি ফ্রিজেই পচে?
অনলাইন ডেস্ক

হাজীগঞ্জ বাজারের এক মাংস বিক্রেতা তথা কসাইয়ের ফ্রিজে রক্ষিত একশ’ কেজির বেশি পচা গরুর মাংস ধ্বংস করা হয়েছে। বুধবার (৭ জুন) দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ পৌর হকার্স মার্কেটের হাজী আবু তাহের গরুর মাংসের দোকান থেকে পচা মাংস জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত মাংসগুলো নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ধ্বংস করা হয়। ওইদিন দুপুরে নিরাপদ খাদ্য আইনে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ সামছুল ইসলাম রমিজ। এ সময় হাজী আবু তাহের গরুর মাংসের দোকানের রেফ্রিজারেটরে (ফ্রিজে) রাখা দুর্গন্ধযুক্ত একশ’ কেজির বেশি পচা গরুর মাংস জব্দ করা হয়। অভিযানে দোকানের মালিক মোঃ আবু তাহেরসহ অন্য মাংস ব্যবসায়ীদের সতর্ক এবং উপস্থিত জনসাধারণকে নিরাপদ খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়। এরপর জনসম্মুখে জব্দকৃত পচা মাংস ধ্বংস করা হয়। এ বিষয়ে মাংসের দোকানের মালিক মোঃ আবু তাহের জানান, মাংসগুলো এক মাস আগে ফ্রিজে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ হওয়ার কারণে তিনি দোকানে আসেননি, তাই মাংসগুলো বিক্রি করা হয়নি।

উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মোঃ সামছুল ইসলাম রমিজ জানান, বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে দুর্গন্ধযুক্ত পচা মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখায় দোকানের মালিক ও মাংস বিক্রেতা মোঃ আবু তাহের ও হারুন মিয়ার নামে নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

ভাগ্য ভালো হাজীগঞ্জের গরুর মাংস বিক্রেতা আবু তাহেরের। তার কাছে উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা গিয়েছেন। যদি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেউ কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যেতেন, তাহলে তাকে মোটা অংকের জরিমানা গুণতে হতো। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অনেক কিছুর সাথে গরুর মাংসের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫০০/৫৫০ টাকার মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। মূল্যবৃদ্ধির এই হার প্রায় ৫০ শতাংশ। এমতাবস্থায় কতোজন গরু মাংসের ক্রেতা পূর্বের ন্যায় সক্ষমতায় রয়েছেন? নিশ্চয় এই মাংসের ক্রেতা কমেছে। সেজন্যে কসাই বা মাংস বিক্রেতার কাছে অবিক্রিত মাংসের পরিমাণ পূর্বের চেয়ে বেশি থাকছে এবং সেগুলো ফ্রিজে ঢুকছে। কখনো বিক্রি হচ্ছে কিংবা ফ্রিজে পচছে। শুধু হাজীগঞ্জের মাংস বিক্রেতা আবু তাহেরের ফ্রিজেই নয়, খোঁজ নিলে অনেক মাংস বিক্রেতার ফ্রিজেই মিলবে এমন পচা মাংস--এটা সহজ অনুমান হলেও বাস্তবতায় উপনীত হবার সম্ভাবনা যে অনেক বেশি হতে পারে সেটা অকপটে বলা যায়। অতএব, গরুর মাংসের ক্রেতাদের সাবধান হবার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়