প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২২, ১৯:০২
নৌপুলিশের অভিযানে প্রায় ৫ কোটি মিটার জালসহ ৮২ জেলে আটক

হাইমচরে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ২২ দিনে নীলকমল নৌ- পুলিশ মেঘনা নদীতে ইলিশ নিধনের অপরাধে ৮২ জন জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২০ টি নৌকা ও ১২০০ কেজি বিভিন্ন সাইজের ইলিশ মাছ জব্দ করেন। বিগত বছরের তুলনায় এবছরই সেরা অভিযান পরিচালনা হয় নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির।
|আরো খবর
নীলকমল নৌ-পুলিশ সূত্রে জানাজায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মা'ইলিশ রক্ষায় সকল ধরনের মাছ নিধন ও ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ করে সরকার। এ নিষিদ্ধ সময়ের ২২ দিনে ঢাকা নৌ-পুলিশ হেডকোয়াটার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোরতাজা আলী খাঁন ও নীলকমল নৌ-পুলিশ ইনচার্জ মো. হোসেন সরকারের নেতৃত্বে মেঘনায় বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর সঙ্গীয় ২৫জন ফোর্স, নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ১০ জন, ঢাকা থেকে পাঠানো রিজাভ ফোর্স ১০ জনসহ মোট ৪৫জন নৌ-পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযানে অংশগ্রহন করেন। যৌথ অভিযানে ৮২ জন আসামীকে আট করে ১৭ টি মামলা দায়ের করা হয়। ২টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২২ দিনের অভিযানে ৫ কোটি ২০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল যার আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি টাকা। ২০টি নৌকা ও ১২০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংশ করে দেয়া হয়। জব্দকৃত মাছ গুলো স্থানীয় গরীব, অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়।
নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হোসেন সরকার জানান, নীলকমল নৌ-পুলিশ সৃষ্টি হওয়ার পর কখনো এমন অভিযান পরিচালিত হয়না। সর্বকালের সেরা অভিযান পরিচালিত হয় এবারের অভিযান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৪৫ জন নৌ-পুলিশ নিয়ে এবছর আমাদের অভিযান পরিচালিত হয়। রেকর্ড পরিমান জাল, আসামী, নৌকা ও মাছ জব্দ করতে পেরেছি এবছর। আমরা দেশের সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের সর্বোচ্ছ দিয়ে চেষ্টা করেছি।