প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ২১:৫৮
গণফোরাম নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু ও অ্যাড.ফজলুল হক সরকার স্মরণে শোকসভা
গণফোরাম করে কেউ কখনো দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি
---কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান

চাঁদপুরে কেন্দ্রীয় গণফোরামের সভাপতি ও উপদেষ্টার স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন ২০২৫) সকালে চাঁদপুুর জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জেলা গণফোরামের উদ্যোগে এ শোকসভার আয়োজন করা হয়। গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোস্তফা মহসীন মন্টু ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অ্যাড. ফজলুল হক সরকারের স্মরণে শোকসভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা গণফোরামের সভাপতি অ্যাড. সেলিম আকবরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণফোরাম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, গণফোরাম প্রগতিশীল রাজনীতি করে আসছে। এ দল করে কেউ কখনো দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি। দেশের স্বার্থে গণমানুষের জন্যে কাজ করে গণফোরাম। আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি শোকসভায়। আমরা গণফোরামের এক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে হারিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা বাহিনী বিএলএফ বাহিনীর প্রধান ছিলেন মোস্তফা মহসীন মন্টু। অসুস্থ শরীরে শেখ হাসিনা হটানোর আন্দোলনে তিনি ঢাকায় আমাদের সাথে রাজপথে ছিলেন। ষাটের দশক থেকে ছাত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ, নব্বইয়ের গণআন্দোলন ও সর্বশেষ শেখ হাসিনা হটানোর আন্দোলনসহ বহু আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন রাজপথে থেকে। তিনি জীবন সায়াহ্নে এসে ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন। অক্সিজেন সিলিন্ডার সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে রাজপথে সভা সমাবেশে, খোলা মাঠে এসে বক্তব্য দিয়েছেন।
|আরো খবর
তিনি বলেন, অ্যাড. ফজলুল হক সরকার গণফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি ছাত্র রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছিলেন। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, সকল আন্দোলন-সংগ্রামেই নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী বারের তিনি নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তিনি আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমি গণফোরামের ব্যানার নিয়ে পল্টন মোড়ে সমাবেশ করেছি। সেই দিন পুলিশ আমাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছিলো। তারা আমাদেরকে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে আমরা প্রেসক্লাব সম্মুখে যাই। আমি বলেছিলাম, যেভাবে ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে তা বন্ধ করা হোক। ড. কামাল হোসেনের কন্যা ব্যারিস্টার সায়রা হাইকোর্টে মামলা করেছিল ছাত্রদের ওপর গুলি বন্ধের জন্যে। মরহুম দুই নেতার আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণফোরামকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
চাঁদপুর শহর গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর হাসান সুমন মিজির পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, কোষাধ্যক্ষ শাহ নুরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম, কেন্দ্রীয় গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্রশিল্পী আজাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা গণফোরামের আহ্বায়ক বোরহান উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোহাম্মদ বাবর বেপারী, শহর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শাহজাহান খান, বাসদ চাঁদপুর জেলা শাখার সমন্বয়ক কমরেড শাহজাহান তালুকদার, কমিউনিস্ট পার্টির চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আশরাফ বাবু সরকার, শহর গণফোরামের সভাপতি অ্যাড. আবু সুফিয়ান, দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক বিজয় মজুমদার, ফরিদগঞ্জ উপজেলা গণফোরামের সাবেক সভাপতি হাজী মাও. ফারুক, হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজর প্রভাষক মনিরুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।