প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ২১:১৩
গণঅভ্যুত্থানের বছর পূর্ণ হলেও সরকারি ওয়েবসাইটে এখনও ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার ছবি!

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-দপ্তরের ওয়েবসাইটে পরিবর্তন আসলেও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ওয়েবসাইটের কাভার ফটোতে এখনও ঝুলে থাকতে দেখা গেছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর পূর্তি হলেও সরকারি ওয়েবসাইটে শেখ হাসিনার ছবি থাকায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ছাত্রনেতারা।
|আরো খবর
তারা বলছেন, এ সরকারকে চব্বিশের জুলাই বিপ্লব ও বিপ্লবে আত্মত্যাগকারীদের ছবি সরকারি ওয়েবসাইটে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বুধবার (৩০ জুলাই ২০২৫) সরকারি এই ওয়েবসাইট ঘেঁটে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ওয়েবসাইটের কাভার ফটোতে দেখা যায়, সমাবেশে শেখ হাসিনা এক হাতে জাতীয় পতাকা ও অন্য হাত উঁচিয়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানানোর ভঙ্গিতে আছেন। তার পাশে রয়েছেন নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারা।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর পরদিনই ৬ আগস্ট সরকারি ওয়েবসাইটগুলো থেকে শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নাম সরানোর কাজ শুরু হয়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পূর্ণ হলেও ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ওয়েবসাইটে এখনও শেখ হাসিনার ছবি থাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী মিরাজসহ আরো কয়েকজন জানান, শেখ হাসিনার ছবি সব জায়গা থেকে সরাতে হবে। এসব জায়াগায় বিপ্লবের ছবি দিতে হবে, যারা আমাদের নতুন চেতনার প্রতিচ্ছবি তাদের ছবি ব্যবহার করতে হবে।
পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রবাহ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ছবিটি কেন্দ্রীয়ভাবে দেয়া হয়েছে। আমি সরাতে গিয়ে ব্যর্থ। 'অন্য পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজ দায়িত্বে সরিয়েছেন, আপনি কেনো ব্যর্থ?' এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ভুল হয়েছে।
চাঁদপুর কার্যালয়ের প্রোগ্রামার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, যিনি কার্যালয় প্রধান রয়েছেন, তার দায়িত্বে সরকারি নিয়মানুযায়ী ছবিটি মুছে ফেলা প্রয়োজন ছিলো। খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। জানতে চাওয়া হলে জেলা তথ্য কর্মকর্তা তপন বেপারী আশ্রাফুল বলেন, শেখ হাসিনাতো আর প্রধানমন্ত্রী নেই, সংগত কারণেই তার ছবি রাখার যৌক্তিকতা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দিয়েছি ছবি অপসারণ করার জন্যে।