সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪, ০০:০০

সাক্ষাৎকার : মোহাম্মদ ওমর ফারুক

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য

অনলাইন ডেস্ক
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য

মোহাম্মদ ওমর ফারুক চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁর জন্ম চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদে কাটে সোনালি শৈশব। তারপর চলে আসেন হাজীগঞ্জে। হাজীগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক এবং ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।

মোহাম্মদ ওমর ফারুক ২০০৫ সালে চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুলে সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালের ১০ জুন অধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতিলাভ করেন।

৫ মে দুপুরে তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ‘শিক্ষাঙ্গন’ বিভাগের মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকার নেন : আলআমিন হোসাইন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

মোহাম্মদ ওমর ফারুক : মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষকতা পেশায় কীভাবে এলেন?

মোহাম্মদ ওমর ফারুক : বিএড কোর্সে অধ্যয়নকালে ঢাকার ফার্মগেটে ঢাকা মেট্রোপলিটন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের দেয়ালে একটি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখি। পরে সেখানে আবেদন করি। সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হই। সে আলোকে ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি হাজীগঞ্জের বোরখাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের মাধ্যমে আমার শিক্ষকতা জীবনের শুরু।

চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষক হিসেবে প্রথমদিন কেমন কেটেছে?

মোহাম্মদ ওমর ফারুক : শিক্ষক হিসেবে প্রথমদিন খুবই চমৎকারভাবে কেটেছে। আমি প্রথম যখন স্কুলে যাই সবাই আমাকে সানন্দে বরণ করে নেয়। ওই এলাকার মানুষ আমাকে যে ভালোবাসায় বরণ করে নেয় সে মুহূর্তগুলো আজও আমার মনে পড়ে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক কে? কেনো প্রিয়?

মোহাম্মদ ওমর ফারুক : আমার প্রিয় শিক্ষক কাজী বজলুর রহমান। তিনি হাজীগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। স্যার আমাকে খুবই আদর-স্নেহ করতেন। আমি হোস্টেলে থাকাবস্থায় স্যার তাঁর বাড়িতে বহুবার আমাকে খাইয়েছেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বর্তমান (কর্মরত) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলুন?

মোহাম্মদ ওমর ফারুক : চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ চাঁদপুর পৌরসভা পরিচালিত স্থায়ী মঞ্জুরিকৃত ও এমপিওভুক্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহিদ উল্লাহ জাবেদের স্মৃতিনির্মাণে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়ে আমি অত্যন্ত গর্ববোধ করি। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার পরিবেশ বিস্তারে উক্ত এলাকায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে আধুনিক অবয়ব এবং উচ্চ মাধ্যমিক শাখা অনুমোদনদানের জন্যে বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি মহোদয় ও চাঁদপুর পৌরসভার মাননীয় মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল মহোদয়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় আটশ’ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। মেয়র মহোদয়ের উদ্যোগে গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ (স্কুল ব্যাগ, স্কুল ড্রেস) প্রদান ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত আছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

মোহাম্মদ ওমর ফারুক : এখানে কম খরচে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেনো উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এ বিদ্যানিকেতনটির সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু বলুন।

মোহাম্মদ ওমর ফারুক : রাষ্ট্রীয় সকল দিবসে সক্রিয় অংশগ্রহণ আছে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। স্কাউটিং, রেডক্রিসেন্ট, গালর্স্ গাইড, সাহিত্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, সততা সংঘ, লেঙ্গুইজ ক্লাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুক্তমনের মানুষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরির ক্ষেত্রে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনি কী স্বপ্ন দেখেন?

মোহাম্মদ ওমর ফারুক : আমার স্বপ্ন- এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশ গঠনে দায়িত্ব পালন করবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসর সময় কী করেন?

মোহাম্মদ ওমর ফারুক : অবসরে বই পড়ি। লেখালেখি করি। টেলিভিশন দেখি। খেলাধুলা করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়