বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   তীব্র গরম, দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থল পরিদর্শনে চীনের দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল

মিজানুর রহমান ॥
চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থল পরিদর্শনে চীনের দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল

চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের নদী ভাঙ্গন এবং পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থল এলাকার বর্তমানে কী অবস্থা তা সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন চীনা সরকারের পানি ও নদী ভাঙ্গন বিশেষজ্ঞসহ ১০ সদস্যের একটি টিম। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ভাড়া করা একটি দ্বিতল লঞ্চ নিয়ে যৌথ নদী কমিশনের একজন সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর পওর বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যদের সাথে নিয়ে চাঁদপুরের নদী এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন চীনের ওই প্রতিনিধি দল।

এর আগে বেলা বারোটার সময় চাঁদপুর শহরের ষোলঘরস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ড রেস্টহাউজে আগমন করেন তারা।

পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গম নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইঞ্জিঃ মোঃ আতিকুল ইসলাম (উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, শহর সুরক্ষা উপ-বিভাগ বিডব্লিউডিবি, চাঁদপুর)।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ডক্টর আবুল হোসেন, চীন সরকারের পানির সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডিজি (ডিরেক্টর জেনারেল) মিস্টার ওইন কিং, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর পওর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আবুল খায়ের, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহুরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন।

ইঞ্জিঃ মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া মোহনার বর্তমান কী অবস্থা তা দেখার জন্যে তারা এসেছেন। আমরা চাঁদপুরের নদী ভাঙ্গন ও শহর রক্ষাবাঁধের শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে কীরূপ অবস্থা হয় এবং পদ্মা নদীর পানির ফ্লো ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তাদেরকে অবহিত করেছি। চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্ট দিয়ে কিভাবে কী পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয় সেটিও আমরা দেখিয়েছি।

ওই প্রকৌশলী আরো জানান, ৮২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিযুক্ত হয়ে গেছে এবং কাজও শুরু হবে।

প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম বলেন, শহর রক্ষাবাঁধের নতুন বাজার পুরাণবাজার অংশের ৩৩৬০ মিটার প্রতিরক্ষামূলক কাজ হবে এখানে।

আগে পদ্মা নদী থেকে মেঘনা নদীর প্রশস্ততা ছিল সাড়ে ৪ কিলোমিটার। এখন তা দেড় কিলোমিটার। আগে পদ্মার পানি বাঁক নিয়ে মেঘনা দিয়ে নামতো। এখন সোজাসুজি পদ্মার বিশাল জলরাশি কম প্রশস্ত জায়গা দিয়ে নিচে নামছে। মেঘনার পশ্চিম পাড়ে অনেক চর জেগেছে। চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধকে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করতে হলে নদীর ড্রেজিং বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যে ড্রেজিং বিষয়ের সুপারিশ করা হয়েছে। আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পেরও ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়