রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০

রেল স্টেশনগুলো পরিত্যক্ত থাকবে কেন?

অনলাইন ডেস্ক
রেল স্টেশনগুলো পরিত্যক্ত থাকবে কেন?

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে খোদ চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনটি এখন অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। স্টেশন কার্যালয় থেকে কোনো ট্রেনের টিকেট বিক্রি হয় না, কোনো ট্রেন আসলে কেউ টিকেট চেক করে বিনে টিকেটি যাত্রীকে পাকড়াও করে না। স্টেশনে ওয়েটিং রুম থাকলেও সেটি খোলার মতো কোনো লোক নেই। প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে না পেরে ট্রেন যাত্রীসহ অন্যরা পড়ে ভীষণ বিপাকে। তবে স্টেশনটির প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্তভাবে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা থাকায় শুধু যাত্রীরা নয়, যে কোনো শ্রেণীর মানুষ সবসময় শুয়ে-বসে সময় কাটায় এবং স্টেশনের যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে। স্টেশনটি ভবঘুরে, পাগল, বখাটে, ভাসমান হকারদের মোক্ষম স্থানেও পরিণত হয়েছে। এই স্টেশন থেকে রেল কর্তৃপক্ষের ইজারা দেয়া কিছু জায়গার বার্ষিক স্বল্প পরিমাণ রাজস্ব ছাড়া অন্য কোনো আয় নেই। অথচ এই স্টেশনটিতে লাকসাম, আখাউড়া ইত্যাদি স্টেশনের মতো পাবলিক টয়লেট করে ইজারা দিলে রেল কর্তৃপক্ষের আয় যেমন হতো, তেমনি চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে জায়গার অভাবে পৌর কর্তৃপক্ষের পাবলিক টয়লেট করতে না পারার ব্যর্থতা ঘুচতো।

চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনসহ চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত স্টেশন আরো রয়েছে। যেমন : মৈশাদী, শাহতলী, বলাখাল, ওয়ারুক ও শাহরাস্তি। এগুলোর অবস্থা কোর্ট স্টেশনের চেয়েও খারাপ। দিনে/রাতে এগুলো মাদক সেবন, জুয়া সহ নানা অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রূটে চলাচলকারী মেঘনা আন্তঃনগরের টিকেট পাওয়া যায় অনলাইনে এবং চাঁদপুর, মধুরোড, হাজীগঞ্জ ও চিতোষী স্টেশনে। আর বেসরকারি খাতে ইজারা দেয়া একই রূটের সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট পাওয়া যায় ট্রেনেই। এ দুটি ট্রেন ব্যতীত কোনো কমিউটার ট্রেন/লোকাল ট্রেন/মালবাহী ট্রেন না থাকায় চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত স্টেশনগুলোর কার্যকারিতা প্রতিপন্ন করার মতো উপায় নেই। কথা হলো, এই উপায়হীনতা কতোদিন বিদ্যমান থাকবে?

চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহনের অস্বাভাবিক চাপ ও যানজট কমাতে চাঁদপুর- লাকসাম রেলপথে পূর্বের ন্যায় লোকাল/কমিউটার ট্রেন চালুর গুরুত্ব রয়েছে। এটা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পর্যবেক্ষণমূলক সুপারিশ এবং স্থানীয় এমপি মহোদয়গণের তদবির/তাগিদ অনিবার্য বলে আমরা মনে করি। এমনটি যদি করা না হয় বা না যায়, তাহলে অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত স্টেশনগুলোর জায়গা ও স্থাপনা মোটেও কাজে লাগবে না। এমতাবস্থায় হয় ইজারা নয়তো নিলামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে এসব স্টেশনের স্থাপনা ও জায়গা নানা ভালো কাজে লাগবে। ফলস্বরূপ স্টেশন এলাকার পরিবেশ উন্নত হবে এবং অনেকে নিজে কিংবা তাদের সন্তান/পোষ্যরা বিপথগামিতা থেকে রেহাই পাবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়