প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫, ২৩:৫৩
দুর্বৃত্ত অন্ধ দলদাসদের সচিবালয়ে ঢোকতে দেয়া হবে না --- সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী ----

দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমম্বয় কমিটি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ সমাবেশের মাধ্যমে জাতির মুক্তির সনদ ১১ দফা পেশ করেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জনগণের সেবক, এরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন ভাতা পায়, এরা জনগণকে 'স্যার' বলে সেবা প্রদান করবেন, অথচ বৃটিশদের আমলা নামের কুলাঙ্গার এই জাতীয় বেঈমান, লুটেরা, সুযোগ সন্ধানী, বহুরূপী যারা হাম্বালীগ সহ বিভিন্ন দলের অন্ধ দলদাস, তাদেরকে চাকরিচ্যুত করে দেশপ্রেমিক সৎ সাহসী, সত্যবাদী, নিষ্ঠাবান, পেশাদার দায়িত্বশীলদের নিয়োগ দিলে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামের মতো গড়ে তোলা সম্ভব। এই আবেদনের প্রতিকার প্রধান উপদেষ্টা তাঁর চতুর্দিকে থাকা মীরজাফরদের কারণে করতে না পারায় ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৫ দুদক কমিশনের সাথে আমলাদের দুর্নীতির তথ্য প্রমাণসহ বৈঠক করেন দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটি। বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান সৎ ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করে জনবলের সংকটসহ দুঃখ করে বলেন যে, যে সকল উপদেষ্টা ও নেতা দুর্নীতিবাজ দুর্বৃত্তদের পক্ষে আমার নিকট তদবির ও চাপ প্রয়োগ করেছেন, তাদের নাম আমার অফিসের নিচে অপেক্ষমাণ মিডিয়ায় সামনে বললে আপনারা বাসায় পৌঁছার আগেই প্রজ্ঞাপন জারি হয়ে যাবে। ড. মোমেন দুদকের চেয়ারম্যান নেই। ১ মার্চ ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবে দুর্বৃত্ত আমলাদের দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকদের নিকট উপস্থাপন করেন দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমম্বয় কমিটি। পর্যায়ক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেল সেন্টার-পান্থপথ, উত্তরা বিভিন্ন সমাবেশে সরকারি সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বনামে বেনামে সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করার আল্টিমেটাম দেন দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমম্বয় কমিটি, এমনকি দুর্বৃত্ত উপদেষ্টা ও আমলাদের সচিবালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না মর্মেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
প্রতিকার না পেয়ে বাংলাদেশের ৮৭% মজলুম জনগণের সংগঠন দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমম্বয় কমিটি ১৭ এপ্রিল থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, সেনাবাহিনীর প্রধান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নিকট দেশবরেণ্য ২৭ জন নিবেদিত দেশপ্রেমিকের তালিকা সাক্ষাৎকারের জন্যে প্রেরণ করা হয় ও উপদেষ্টা/পিএসদের নিকট ফোনে সাক্ষাতের চিঠি চেয়ে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু দুর্নীতির তথ্য প্রমাণের আবেদন দেখে সামান্য সচিব ও পিএসদের আচরণে দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমম্বয় কমিটির সকলেই আতঙ্কে অসুস্থ বোধ করছেন, কেউ কেউ বলছেন, আমাদের যখন সম্মান মর্যাদা দিচ্ছে না, দেখা করে কী হবে!!
"যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ”! ৫২, ৭১, ২৪-এর শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি কতদিন চলবে? জাতীয় বেঈমান, লুটেরা, দুর্বৃত্ত, সুযোগসন্ধানী, বহুরূপী, অন্ধ দলদাস ও মুনাফেকদের থেকে বাংলাদেশের মজলুম জনগণকে হেফাজত করুন।