শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪৫

শোষণ ভাঙার অগ্নিঝড়

মুসাদ্দেক আল আকিব
শোষণ ভাঙার অগ্নিঝড়

জুলাই নামে বজ্রস্বরে, পথে নামে দামাল ঢেউ,

লাল নিশানে শপথ লেখা, নেই কারো কোনো ভয়।

শোষণ ভাঙার অঙ্গীকারে, দুর্জয় যাত্রা শুরু হয়,

জেগে ওঠে অগ্নিরথে, প্রহরী প্রাণের জয়।

আকাশ ছুঁয়ে লাল মিছিল, গান গেয়ে ওঠে আবার,

অন্যায়ের শৃঙ্খল ভেঙে, নতুন দিনের অভিসার।

মহাকালের সাক্ষী হয়ে, গর্বে ভরা জনতা,

সপ্তমাসের ঝড় উঠেছে, মুক্তির মন্ত্র জাগায় তা।

কৃষকের কষ্ট, শ্রমিকের ঘাম, রক্তে মিশে আছে সব,

জল-হাওয়ায় বারুদ গন্ধ, অঙ্গীকারের দীপ জ্বল।

পথে পথে বেজে ওঠে, বিদ্রোহের জাগরণ,

লড়াই চালাও শেষ নিশ্বাসে, শোষণ ভাঙার রণ।

অস্ত্র নয়, সাহস মোদের, মুঠি বঁাধা বুকে আগুন,

রক্তে রাঙা প্রলয়-নৃত্য, অঙ্গীকারের দীপকথন।

বীর জনগণ লড়ছে আবার, স্রোতের মতন ধ্রুব সত্যি,

জনতার দাবির বিজয়মন্ত্র, আকাশে আজ উড়ছে জ্যোতি।

পাশে আছে জনগণ, শোষণমুক্ত নতুন ভোর,

শোনো প্রলয়কালের বাণী, অন্যায়ের কুয়াশা ভোর।

রক্তের ঋণ শোধে প্রাণ, স্বাধীনতার স্বপ্ন বঁাচে,

নতুন বাংলাদেশ গড়তে, সংগ্রামের মন্ত্রে আছড়ে।

আকাশ কঁাপানো শপথে আজ, শিহরিত ছাত্র-জনতা,

লাল নিশানের প্রহরী বুকে, মুছে দাও শোষকের ভয়।

জুলাই বিপ্লবের শিখা, অগ্নিস্রোতের মতো বয়ে,

আগামীর বার্তা বুকে, মুক্তির বারুদ হয়ে।

সকল দফা শেষে এল এক বিপ্লবী চূড়ান্ত দফা,

ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরাচার মুক্ত হবে সোনার বাংলা।

অবশেষে ভাঙল শিকল, উঠল জনস্রোতের ঢেউ,

ঘেরাও জনপদে রুদ্ধ পথÑস্বৈরশাসক পালায়, ধরে উড়াল পথ।

ছবি-২৯

সুমন কুমার দত্ত

মাইলস্টোন এখন মিথস্ক্রিয়া

ঘৃণার জমিতে অহোরাত্রি অভিশাপ

নিশ্চুপ স্রোতে রক্তকণায় প্রবল ঝঁাকুনি; জীর্ণবেদনে বিধ্বস্ত মন কালের কাছে প্রশ্ন রাখে অবিরত,

বিভীষিকাময় এই উপত্যকার আততায়ী মেঘ পরিশ্রান্ত বৃষ্টি হবে কবে?

মাইলস্টোন এখন মিথস্ক্রিয়া, নির্লজ্জের অভয়ারণ্যে বায়োস্কোপ উদ্যান।

অথচ প্রজন্মের পোড়া গন্ধে স্মৃতির শহরে বিষণ্ন হাহাকারে সন্ধ্যা নামে আজ।

ছবি-২৯

মো. হোসেন বেপারী

নীরবতা

এই শশব্যস্ত শহরের উত্তপ্ত গগনে

নীরবতার অক্টোপাস আমাকে রেখেছে ঘিরে,

কিংবা নীরবতা নামের

অব্যক্ত একান্ত যন্ত্রণা।

একাকিত্ব আর নীরবতা যখন আমাকে ভেংচি কাটে

দুষ্ট লোকের মুখে মিষ্টি হাসির মতো

আমি শুধু চেয়ে থাকি অপলক

নীরবতা তখন অট্রহাস্যে জেগে ওঠে

খোলা মন

প্রিয়া উজাড় করে মন

সঁপে দিলো আপন করে।

খোলা চুলে গোলাপ গেঁথে ভালোবেসে অকাতরে।

চোখের কোণে কাজল মেখে, কানে পরে দুল

ভালোবাসার নীল ভুবনে

মন করে আকুল।

আপন করে কাছে নিলাম

বাড়িয়ে দিয়ে হাত

পূর্ণ হলো শূন্য জীবন

রাঙালো প্রভাত।

ছবি-২৯

মোহাম্মদ হানিফ

ভাবছি কিছু লিখবো

মানুষের মান-সম্মান অনেকটা নির্ভর করে

টাকার পরিমাণের উপর,

ভাবছি কিছু লিখবো।

কথার বা চলার সৌন্দর্য না থাকলে টাকার গরমে

সবই যেন ঠিক আছে,

তাই ভাবছি কিছু লিখবো।

বেশভুষা চলাফেরা আচার-আচরণ কিছুই ঠিক নেই,

সমাজে তবুও অনেক মূল্য,

তাই ভাবছি কিছু লিখবো।

ঘুষ দেওয়া-নেওয়া যেন নিয়মেই হয়ে গেছে,

যে দেয় সেও অনেক হাসিখুশি,

আর যে নেয় সেও একই,

তাই ভাবছি কিছু লিখবো।

গৃহকর্তা চাকরি করেন খুবই অল্প বেতনের,

সবার চাহিদা মেটাতে প্রায় লক্ষের উপরে খরচ,

কেউ কোনোদিন প্রশ্ন করেনি,

এতো টাকা কোথা থেকে আসে,

তাই ভাবছি কিছু লিখবো।

আরো অনেক কথা,

বাকি কথা নিয়েও লিখবো।

ছবি-২৯

কাজী আজিজুল হাকিম নাহিন

দোয়েল

দোয়েল পাখি, দোয়েল পাখি

শান্তির সুরে মাখামাখি

সাদা-কালোয় রংয়ের ছেঁায়া

ভোরের আলোয় দেখতে পাওয়া।

মায়াভরা ছোট্ট খেচর

ডাকে সে কেচর-মেচর

নাম তার জাতীয় পাখি

সবাই তাকে আদরে ডাকি

ও দোয়েল পাখি...

লাফিয়ে চলে ডালে ডালে

প্রকৃতির তালে তালে

মাটির টানে ঘুরে বেড়ায়

লেজ নাড়িয়ে হেলে দুলে।

শিষ দিয়ে সে গান তোলে

গ্রাম বাংলার কথা বলে।

পাখি নয় সে শান্তির দূত

আনে বার্তা, জাগায় মমত্ববোধ।

ছবি-২৯

সাহেদ বিন তাহের

আমার স্বৈরশাসক

উৎসর্গ : প্রিয় ফারিয়া আক্তার রুনা

তুমি আমার কাছে রহস্যময়ী চরিত্র

আমার ভালোলাগাÑভালোবাসার অনুভূতি।

কখনো রাগ-ক্ষোভ, অভিমানের এক বিশ্বস্ত ভাণ্ডার

পরোক্ষণেই তুমি যেন সিনেমার নায়িকা হয়ে উঠো

তোমার চাহনি, কাজল কালো চোখ,

ঠেঁাটে লিপিস্টিক, মাথায় বেলিফুলের মালা, পরনে শাড়ি

আমার অপলক দৃষ্টি যেন লেপ্টে থাকে তোমার চাহনিতে।

কিন্তু জানো ঠেঁাটে লিপিস্টিক দেওয়া মেয়ে

আমার একদম পছন্দ হতো না!

অথচ দেখো,

তুমি ঠেঁাটে লিপিস্টিক দেওয়া সত্বেও

তোমার থেকে চোখই সরাতে পারছি না।

আমি যেন কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাই।

আবার তুমিই আমার শত বিরক্তির কারণ!

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়