মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫  |   ৩৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   উত্তরায় স্কুল ভবনে বিমান বিধ্বস্ত, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
  •   উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১৯, জানালো ফায়ার সার্ভিস
  •   উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত
  •   চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
  •   রোগীর চাপে বেসামাল চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল!

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৪

আদালত প্রাঙ্গণের জলমগ্নতা দূর করা হোক

অনলাইন ডেস্ক
আদালত প্রাঙ্গণের জলমগ্নতা দূর করা হোক

বিচারিক সেবা নিতে চাঁদপুর জেলার আট উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। আর সেই প্রাঙ্গণই থাকে জলমগ্ন অবস্থায়। চাঁদপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) আদালতের টিনশেড ভবনের সামনের অংশের মাঠটি সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে বিচারপ্রার্থীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। যার ফলে সেবা নিতে আসা লোকজন, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। হেঁটে যাওয়া কিংবা দাঁড়ানোর সুযোগ নেই টিনশেড ভবনের সামনের অংশটুকুতে। সেবাপ্রার্থীদের দাবি, দ্রুত সময়ে যেন টিনশেড ভবনের সামনের অংশটুকু (খোলা মাঠ) মাটি দিয়ে উচুঁ করে দেয়া হয়। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেই এই মাঠটি পানিতে ভরে যায়। আদালতের আশপাশে বিভিন্ন ডোবা যখন পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়, তখন আর এখানকার পানি বের হওয়ার কোনো জায়গা থাকে না। তাই পুরো প্রাঙ্গণটি জলমগ্ন হয়ে থাকে। আদালতের আশপাশে বিভিন্ন বাড়িঘর ও বহুতল ভবন নির্মাণ হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। জলমগ্ন হওয়ার এটি উল্লেখযোগ্য একটি কারণ। গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে আদালত প্রতিবেদক কর্তৃক পরিবেশিত সংবাদে এই কারণ জানা গেছে। আদালত প্রাঙ্গণের জলমগ্নতা নিরসনের কাজটি গণপূর্ত বিভাগ এককভাবে করতে পারবে না। কেননা আদালতের আশেপাশে যে সকল বহুতল স্থাপনা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা ছাড়াই নির্মিত হয়েছে, সে সকল স্থাপনার মালিক এবং পৌরসভার সাথে সমন্বয় না করে যদি গণপূর্ত বিভাগ কিছু করতে যায়, তাহলে সেটা ফলপ্রসূ হবে না, টেকসই হওয়া তো দূরের কথা। এক্ষেত্রে সমন্বিত ও সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যায় না। তবে গণপূর্ত বিভাগ একক উদ্যাগে বালি ও মাটি ভরাট করে দিয়ে চাঁদপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের টিনশেড ভবনের সামনের নিচু জায়গাটা উঁচু করে দিতে পারে। এর বাইরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও আদালত প্রাঙ্গণের জলমগ্নতা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়, যদি জেলা প্রশাসকের তাতে সামর্থ্য ও আন্তরিকতা থাকে। পৌরসভার পক্ষ থেকেও বালি ও মাটি ভরাট করার কাজটি করে দেয়া যায়। আমরা মনে করি, যে কোনো উপায়ে হোক আদালত প্রাঙ্গণের জলমগ্নতা দূর করা হোক, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্য সকলকে ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই দেয়া হোক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়