প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৮
চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের ‘পাঠ সহজিকরণ প্রকল্প’ প্রসঙ্গে

চাঁদপুর রোটারী ক্লাব ৫৫ বছর বয়সী একটি সংগঠন। এটি প্রতিষ্ঠার তারিখ বিবেচনায় বাংলাদেশের ৭ম রোটারী ক্লাব এবং চাঁদপুর জেলার শীর্ষস্থানীয় সেরা সমাজসেবামূলক সংগঠন। এ সংগঠন চাঁদপুর শহরে অনেক মেধাবী মানুষের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটিয়ে তাঁদেরকে সমৃদ্ধ করেছে এবং অনেক বড়ো কাজে নিজেদের অর্থ ও সম্পদ বিলিয়ে দেয়ার মানসিকতা সৃষ্টি করেছে। যার ফলে ছোট এই শহরে রোটারিয়ানদের নেতৃত্বে মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চাঁদপুর রেড ক্রিসেন্ট ভবন নির্মাণ, পুরাণবাজার মার্চেন্টস্ একাডেমি, পুরাণবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, উদয়ন শিশু বিদ্যালয়, পুরাণবাজার রেডক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল, চাঁদপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, পুরাণ বাস টার্মিনালের যাত্রী ছাউনি, শহরের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক আইল্যান্ড, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের রোগী, ডাক্তার ও কর্মচারীদের জন্যে সর্বপ্রথম আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের উন্মুক্ত সুবিধা সৃষ্টি, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের কার্যক্রম চালু ও ভবন প্রতিষ্ঠা, চাঁদপুরে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম চালু ও টেকসই করাসহ অনেক ছোটোবড়ো কাজ করা সম্ভব হয়েছে। চার দশকব্যাপী চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রকল্প হচ্ছে : প্রতি শুক্রবার বাদ জুমা অনূর্ধ্ব ১২ বছরের শিশুদের জন্যে দাতব্য চিকিৎসালয় পরিচালনা।এসবের বাইরে ১৯৮৬ সালে বাবুরহাট এতিমখানা (বর্তমান সরকারি শিশু পরিবার)-এর বিবাহ উপযুক্তা ১২ জন মেয়েকে দেশের ফার্স্ট লেডী রওশন এরশাদের উপস্থিতিতে পাত্রস্থ করা ও স্বামীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ছিলো স্মরণীয় ঘটনা। সেখানে প্রায় ২৯ বছর পর চাঁদপুর রোটারী ক্লাব গিয়েছে গত ১ জুলাই ২০২৫ (মঙ্গলবার) রোটারী বর্ষের প্রথম দিন উদযাপন (ফার্স্ট ডে সেলিব্রেশন) করতে। কর্মসূচি ছিলো : শিশু পরিবারের ১৩০ জন নিবাসীকে নতুন পোশাক প্রদান, সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার পরিবেশন, বৃক্ষরোপণ, মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ, স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ ও কাউন্সেলিং। এতো ব্যাপক কর্মসূচিতে এতিম শিশুদের নিয়ে এমন উদযাপন বাংলাদেশের প্রায় ৩০০ রোটারী ক্লাবের মধ্যে আর কেউ করেনি।
|আরো খবর