বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ০৮:৫৭

বিশেষ ট্রেনে চাঁদপুরের এতো গুরুত্ব, কক্সবাজার রূটে নয় কেন?

অনলাইন ডেস্ক
বিশেষ ট্রেনে চাঁদপুরের এতো গুরুত্ব, কক্সবাজার রূটে নয় কেন?

আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এসব ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ৯ দিন চলাচল করবে। সোমবার (১২ মে ২০২৫) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত অংশীজন সভায় এসব তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। তিনি জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ সুবিধার্থে বাড়তি ৫ জোড়া অর্থাৎ ১০টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এ সময় নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনগুলো আগের মতোই চলবে। সিডিউল অনুযায়ী, যাত্রীবাহী চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ ও ২ চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৪-৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯-১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ চট্টগ্রাম থেকে দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ছেড়ে চাঁদপুর পৌঁছাবে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে। চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-২ চাঁদপুর থেকে রাত সাড়ে ৩টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে।

বিশেষ ট্রেনের সিডিউলে চাঁদপুরকে সবসময় গুরুত্ব দেয়া হয় নিশ্চয়ই লাভজনক হওয়ার কারণে। কেননা চাঁদপুর স্বল্প খরচে চট্টগ্রাম থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মোক্ষম এক ট্রানজিট পয়েন্ট। গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত বিশাল জনগোষ্ঠী সংগত কারণে এই ট্রানজিট পয়েন্টকে পছন্দ করে। কথা ছিলো, ঢাকা-কক্সবাজার রূটে ট্রেন চলাচল শুরুর পর চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে বর্তমানে চলাচলরত মেঘনা এক্সপ্রেসকে কক্সবাজার পর্যন্ত চালানো হবে। সেমতে ট্রেনটির বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছাড়ার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৬টা করা হয়েছিলো। কিন্তু চাঁদপুরবিদ্বেষী রেল কর্মকর্তার কারণে সেই কথা রেল কর্তৃপক্ষ রক্ষা করতে পারে নি। নূতন সময়সূচিতে মেঘনার চট্টগ্রাম ছাড়ার সময়সূচি বিকেল সাড়ে ৫টা করা হয়েছে। ইঞ্জিন সঙ্কটের অজুহাত ও ড্রাইভার (লোকোমাস্টার)-এর অভাবকে প্রকটভাবে সামনে রেখে রেলওয়ের চাঁদপুরবিদ্বেষী ও বাসপ্রেমী (!) কর্মকর্তা চাঁদপুর-কক্সবাজার-চাঁদপুর রূটে ট্রেন চলাচলকে বিলম্বিত করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বস্তুত চাঁদপুর-কক্সবাজার-চাঁদপুর রূটে ট্রেন চলাচলে বাড়তি ইঞ্জিন ও বগির প্রয়োজন হচ্ছে না। নূতন ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে ট্রেনিংশেষে তাদের মধ্য থেকে মেঘনা এক্সপ্রেসের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম অংশে দায়িত্ব পালনের রোস্টার ঠিক করে দিলেই হয়। এটি ঠিক করতে রেল কর্তৃপক্ষের দীর্ঘসূত্রিতা খুবই দুঃখজনক। আমরা হলফ করে বলতে পারি, রেলওেয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সদিচ্ছাতেই চাঁদপুর-কক্সবাজার রূটে ট্রেন চালানো সম্ভব এবং সেটি অবশ্যই হবে লাভজনক। আমরা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, সচিবালয়ে কর্মরত চাঁদপুরের কৃতী সন্তানদের আন্তরিকতা, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সমিতির নেতৃবৃন্দ, ঢাকায় সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত চাঁদপুরের গুণী মানুষদের, সর্বোপরি স্থানীয় সকল গণমাধ্যমকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সোচ্চার হতে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়