রবিবার, ১১ মে, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫, ২১:১৩

ফরিদগঞ্জ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সম্মেলন ও ওয়াজ মাহফিল

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কুরআন-সুন্নাহর পথে ফিরে আসতে হবে

..…....ছারছীনার পীর ছাহেব

স্টাফ রিপোর্টার।।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায়  কুরআন-সুন্নাহর পথে ফিরে আসতে হবে
ফরিদগঞ্জ উপজেলা জমইয়াতে হিযবুল্লাহ সম্মেলন ও ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি ছারছীনার পীর ছাহেব ও বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর আমীর মুফতি শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হোসাইন দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করছেন। পাশে উপস্থিতির একাংশ।

বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর আমীর ও ছারছীনার হযরত পীর ছাহেব কেবলা আলহাজ্ব মুফতি শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হোসাইন (মাদ্দা জিল্লুহুল আলী) তাঁর বক্তব্যে বলেন,

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কুরআন-সুন্নাহর পথে ফিরে আসতে হবে। রাসূল (সা.) যেমন জীবনযাপন করেছেন— তাঁর খাওয়া-দাওয়া, কথা বলা, চালচলন— সবই আমাদের জন্যে পথনির্দেশ। তাঁকে ভালোবাসতে হলে তাঁর সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরতে হবে।

পীর ছাহেব বর্তমান সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও অশান্তির চিত্র তুলে ধরে বলেন, আজ সমাজে অশান্তি, অন্যায় ও জুলুম বেড়ে চলেছে। এর মূল কারণ হলো— আমরা আল্লাহর বিধান থেকে দূরে সরে গেছি। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন গড়তে হবে।

শুক্রবার (৯ মে ২০২৫) বাদ জুমা ফরিদগঞ্জ গল্লাক বাজার ঈদগাহ ময়দানে জমইয়াতে হিযবুল্লাহ সম্মেলন ও ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর হাফেজ মুফতি শাহ্ আবু বকর সালেহ মোহাম্মদ নেছারুল্লাহ (মা. জি. আঃ), ছারছীনা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. মো. রুহুল আমিন আফসারী, ছারছীনা দরবারের মুবাল্লেগ মাও. হেমায়েত বিন তৈয়্যব, জেলা জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সভাপতি মাও. মো. সাইফুদ্দিন খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক মাও. মো. মমিনুল ইসলাম খান, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল হাসান মো. ছাইফুল্লাহ প্রমুখ। পীর ছাহেব আরো বলেন, আল্লাহ তা'য়ালার অসীম রহমতে আমরা আজ এখানে সমবেত হয়েছি দ্বীনের আলোচনা করার জন্যে। এটা আল্লাহর এক বিরাট নিয়ামত। যারা দ্বীনি মজলিসে অংশ নেয়, তাদের জন্যে ফেরেশতারা দোয়া করে, রহমতের চাদর বিছিয়ে দেয়। এ ধরনের মাহফিল ঈমান মজবুত করে, আল্লাহর প্রেম সৃষ্টি করে এবং গুনাহ থেকে তাওবা করার সুযোগ দেয়। তিনি আরো বলেন, নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নামাজ ধর্মের মূল স্তম্ভ, এটি ঠিক থাকলে সবকিছু ঠিক থাকবে। আমরা অনেকেই কাজের অজুহাতে নামাজ ছেড়ে দিই। অথচ কেয়ামতের দিনে সর্বপ্রথম হিসাব হবে নামাজ নিয়ে। তাই আসুন, আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতসহ আদায়ের অঙ্গীকার করি। তিনি মুসলিম উম্মাহকে কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা অনুসরণ করে চলার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, পীর-মুরশিদ হলেন আত্মার চিকিৎসক। যেমন শরীরের অসুখ হলে ডাক্তার দরকার, তেমনি রুহানী রোগ মুক্ত করতে একজন যোগ্য মুরশিদের সাহচর্য প্রয়োজন। তবে মনে রাখতে হবে, পীরের অনুসরণ মানে দ্বীন ও শরীয়তের বাইরে কিছু নয়। সত্যিকার পীর সবসময় কুরআন ও সুন্নাহর পথে পরিচালিত করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়