রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৫

বৃক্ষমলায় কোটি টাকার গাছ বিক্রি

নার্সারির মালিকদের মুখে হাসি

কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক
নার্সারির মালিকদের মুখে হাসি

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে চাঁদপুরে চলে ফল, পুষ্টি ও বৃক্ষমেলা ২০২৫। বুধবার (২৫ জুন ২০২৫) সকালে চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুর রকিব, জেলা বন কর্মকর্তা আবু তাহের, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাহবুব আলম ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা। এ বছর মেলাটি দুটি ভাগে বিভক্তÑবৃক্ষমেলা এবং কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলা।

বৃক্ষমেলায় স্থানীয় নার্সারি এবং বন বিভাগের সমন্বয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা। মেলার পরিবেশ চোখ জুড়ানো সবুজে ভরা। গাছপ্রেমীরা যেমন পেয়েছেন পছন্দের গাছ, তেমনি পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ সম্পর্কে পেয়েছেন নানা তথ্য ও পরামর্শ।

অন্যদিকে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলায় স্থান পেয়েছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, জৈব সার, পুষ্টিকর ফল ও সবজির নমুনা, সুষম খাদ্যের উপকারিতা এবং ঘরোয়া প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি উপকরণ। বিশেষ আকর্ষণ জাতীয় ফল মেলা ও চাঁদপুর নার্সারির নিজস্ব স্টল।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুরের কৃষি, বন ও প্রযুক্তিÑএই তিনটি খাত একত্রিত করে মেলা আয়োজন করাটা একটি বড়ো অর্জন। এই মেলা শুধু গাছ কেনাবেচার জায়গা নয়, এটি পরিবেশ ও পুষ্টি সচেতনতার একটি প্ল্যাটফর্ম।

কৃষি বিভাগ জানায়, মেলায় প্রতিদিন হাজারো মানুষের পদচারণা ঘটে। শুধু গাছ বিক্রিই নয়, মানুষ কৃষি ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠছে। মেলা ৫ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও এর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে মেলা।

মেলায় অংশগ্রহণকারী একাধিক নার্সারির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এবারের মেলায় আমাদের বিক্রি হয়েছে কোটি টাকার উপরে। আগে এতো মানুষ ফলদ বা ফুলের গাছ কিনতো না, এখন শহরের মানুষও ছাদে, উঠানে, এমনকি টবে গাছ লাগানোর প্রয়োজনে চারা কিনছে।

আনন্দের মাঝেও কিছু ক্ষোভও রয়েছে। একজন মালিক বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে গাছ তৈরি করি, মেলায় আনি, বিক্রি করি। কিন্তু কিছু লোক বিভিন্ন সময় চাঁদা চায়, হয়রানি করে। লাভের পরিমাণ খুব একটা বেশি থাকে না। এজন্যে অনেক সময় আমরা মুখ খুলতে পারি না।

চাঁদপুরে বৃক্ষপ্রেমী ও কৃষিপ্রযুক্তিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেÑএবারের মেলা সেটির প্রমাণ। তবে নার্সারি ব্যবসায়ীদের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে এমন মেলা আরও ফলপ্রসূ হবে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়