প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ২০:৫৩
খতিবের ওপর হামলাকারী বিল্লালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

চাঁদপুুর শহরের প্রফেসরপাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা খতিব মাওলানা আনম নূরুর রহমানের ওপর হামলাকারী বিল্লাল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
|আরো খবর
দিয়েছেন। রোববার (১৩ জুলাই ২০২৫) সদর আদালতে আসামীর রিমান্ড শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১২ জুলাই ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে বিল্লাল এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে আসামী পক্ষে কেউ জামিন চায়নি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিকেল তিনটার সময় বিল্লালকে প্রথমে আদালতে আনা হয়। এরপর তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হচ্ছেন চাঁদপুুর সদর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেন।
শুক্রবার (১১ জুলাই ২০২৫) চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা আনম নূরুর রহমান মাদানী। জুমার নামাজে আলোচনা ও খুতবা নিয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন ওই এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। যার কারণে নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি) দিয়ে খতিবের ওপর হামলা চালান বিল্লাল। এতে করে খতিব মাওলানা নূরুর রহমান মাদানীর মাথায় এবং কানে মারাত্মক জখম হয়। পরবর্তীতে মুসল্লিরা তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ সময় হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে মুসল্লিরা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
শুক্রবার রাতেই মাওলানা আনম নূরুর রহমান মাদানীর বড়ো ছেলে আফনান তাকি বাদী হয়ে আসামী বিল্লাল হোসেনের নামে চাঁদপুুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে চাঁদপুর শহরে ইসলামী দলগুলো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিকে শনিবার সকাল থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব রটে মসজিদের খতিব মারা গেছেন। পরে পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।