প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭:১৯
রায়পুরে মেঘনার ভাঙ্গন রোধে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। গত ১৫দিন ধরে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরইন্দ্রুরিয়া গ্রামের আলতাফ মাস্টার মাছ ঘাটের ২৬৬ মিটার এলাকায় প্রায় ১৭ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ্মীপুর কার্যালয়।
|আরো খবর
জানা যায়, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পানির তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আলতাফ মাস্টার ইলিশ মাছঘাট (পর্যটন এলাকা) এলাকা থেকে চরইন্দ্রুরিয়া গ্রামের এক কিলোমিটারসহ তিনটি ইউনিয়নের ১০-১৫টি গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনের শঙ্কায় রয়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি, রাস্তা ও ২০টি হোটেল। গত বছর ১০ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় ৫০টির বেশি ঘর ও দোকান নদীতে বিলীন হয়ে যায় ।
এ নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে সরেজমিন কয়েকবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যার ফলে পাউবো কর্তৃপক্ষ নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পে কাজ করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জরুরি ভিত্তিতে নদী রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৭ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে পাউবোর লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে নির্বাহী প্রকৌশলী কাজ করাচ্ছেন।
সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘এই নদীভাঙ্গন নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আমি বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়ে আসছি, কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে ২৬৬ মিটার এলাকায় ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। আমি ও আমার বড়ো ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গত ১৫দিন থেকে এই এলাকার মধ্যে রয়েছি। এটা অনেক কম হয়ে গেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ধারাবাহিকভাবে ভাঙ্গন রোধে কাজ করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খাঁন বলেন, ‘মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের বিষয়টি আমি জানি। আগের ইউএনও এটা নিয়ে কাজ করেছেন। আমি আসার পর সাবেক উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান এবং আমি নিজেও পাউবোর সাথে কথা বলেছি। অবশেষে কাজ শুরু করেছে, তবে পর্যায়ক্রমে বাকি কাজ করবে তাঁরা।’
রোববার (১৩ জুলাই ২০২৫) পানি উন্নয়ন বোর্ডের লক্ষ্মীপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান বলেন, ‘জিও ব্যাগ ফেলার বিষয়টি আমরা গতবারও মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্যে আবেদন করেছিলাম। তবে এ বছরের শুরুতে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬৬ মিটার এলাকার জন্যে অনুমোদন পেয়েছি। এ জন্যে এখন কাজ করতে পারছি। ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়লে আরও বেশি জায়গার জন্যে আবেদন করা হবে।’