বেশি করে ফল গাছ লাগান এবং ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করুন ..... .......... ইউএনও সুলতানা রাজিয়া

ফরিদগঞ্জে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৭ শতাধিক কৃষকের মাঝে ফলদ ও বনজ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা, রোপা আমন ধানের উফশী জাতের বীজ, সবজি বীজ, সার ও বালাইনাশক বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন ২০২৫) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আপনারা আজকে যে প্রণোদনাগুলো পাচ্ছেন, এগুলো খুবই সময়োপযোগী। এই সময়ের জন্যে আসলেই এগুলো খুব দরকার। আপনারা জানেন যে, বর্ষাকালে আমাদের শাকসবজির ফলন কম হয় অথবা বিভিন্ন কারণে বন্যার কারণে নষ্ট হয়। অতিবৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়। সে কারণে শাকসবজির দাম বেড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে যেন আমরা উত্তরণ করতে পারি সেজন্যে আগে থেকেই আপনাদের শাকসবজির বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। আর বিভিন্ন ফলের চারা বিতরণ করা হচ্ছে। আপনারা আমের চারাও পাচ্ছেন। এই এলাকায় আমার মনে হয় ফলের উৎপাদন খুব কম। আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাবো যে, আপনারা বেশি করে ফল গাছ লাগান এবং ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করুন। আপনাদের ছেলেমেয়েরা যেন ফ্রেশ শাকসবজি খেতে পারে সেভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করুন। আপনারা সাথে সাথে বেড়াও পাচ্ছেন যেন গাছপালা নষ্ট না হয়। গাছের চারাগুলো যেগুলো আমরা দিচ্ছি সেগুলো যেন নষ্ট না হয়। এটিকে সরকারের একটি অসাধারণ উদ্যোগ আমি বলবো। তবে আপনাদের দায়িত্বটা হচ্ছে আপনাদেরকে প্রদত্ত এই প্রণোদনাগুলোকে কাজে লাগানো। আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা আপনাদের আশেপাশের যে জমিগুলো আছে তার এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখবেন না। আপনারা চেষ্টা করবেন যে, আপনাদের যতোটুকু জমি আছে সবটুকু জমি চাষ করার জন্যে। আপনাদের জমি চাষের মাধ্যমে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারেন। পাশাপাশি এই এলাকার লোকজন ফ্রেশ শাকসবজি খেতে পারবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবরার আহাম্মদ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ফাহিম হাসান, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরহাদ, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. হামিদুল হকসহ কর্মসূচির উপকারভোগী কৃষকবৃন্দ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-২ মৌসুমের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৭০০ জন কৃষকের মধ্যে রোপা আমন ধানের উফশী জাতের বীজ ৫ কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি, এমওপি সার ১০ কেজি করে ৫০ জন কৃষককে, ১০ গ্রাম হাইব্রিড মরিচ বীজ, ৫ কেজি ডিএপি সার, ৫ কেজি এমওপি সার ও একটি বালাইনাশক ১০০ জন কৃষককে, উফশী জাতের ৫ ধরনের শাকসবজির বীজ ২২৫ গ্রাম, ডিএপি সার ৫ কেজি ও এমওপি সার ৫ কেজি করে ৩৫০ জন কৃষককে, ৯০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৫টি করে দেশি জাতের নারিকেলের চারা, ৪০ জন কৃষককে ৫টি করে দেশি জাতের তালের চারা ও বেড়া এবং ৮০ জন কৃষককে ৫টি করে উন্নত জাতের আমগাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।