প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২৩:০২
ফরিদগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

ফরিদগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষ কর্তৃক পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার সাফুয়া গ্রামের খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
|আরো খবর
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার সাফুয়া গ্রামের খান বাড়ির সুলতান খানের সাথে প্রতিপক্ষ জুয়েল খানের ১৩৫নং সাফুয়া মৌজার বি.এস. ২৪৭ নং খতিয়ানের বি.এস. ৩৬৮ দাগের মোট .০৬ একর সম্পত্তির অন্দরে .০১ একর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি জুয়েল খান গংকে বিরোধকৃত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিতে দেখে সুলতান খান বিগত ০৩.০৭.২০২৫ তারিখে চাঁদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ১৪৫ ধারার বিধান মতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ( দরখাস্ত নং ৮৬৪/২০২৫) আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে নালিশি ভূমির দখল বিষয়ে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের জন্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে আদেশ প্রদান করে চলতি মাসের ১৭ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।
এরপরেও জুয়েল খান গং ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে দেখে সুলতান খান পুনরায় গত ৭ আগস্ট একই আদালতে হাজির হয়ে ১৮৮ ধারার বিধান মতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন করেন। আদালত এই আবেদনটিও গ্রহণ করে ১৭ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থাগ্রহণ করার আদেশ দেন। এরপর ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই রাসেল মিত্র সরজমিন তদন্ত করে তাদালতে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করে। অথচ গত ১৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে প্রতিপক্ষ জুয়েল গং বিরোধকৃত সম্পত্তিতে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। এ সময় জুয়েল খান ও তার ভাই ফোরকান খান জানায়, সুলতান খানের সাথে তাদের ৬০ হাজার টাকা লেনদেন সংক্রান্ত একটি বিরোধ রয়েছে। সুলতান খানের কাছে আমাদের একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প রয়েছে। তিনি স্ট্যাম্প ফেরত দিলে আমরা ৬০ হাজার টাকা দিয়ে দিবো। অযথা তিনি আমাদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই রাসেল মিত্র বলেন, সরজমিন তদন্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি। আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ছাড়া এখন কিছুই করার নেই।