প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৭
জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নূতন নেতৃত্বকে অভিনন্দন

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলা কাউন্সিলে সভাপতি হয়েছেন গিয়াসউদ্দিন কবির, আর সম্পাদক হয়েছেন হাসেম খান। এ ব্যাপারে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে লিখা হয়েছে, ১২ জুলাই ২০২৫ (শনিবার) চাঁদপুর শহরের ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে এ কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বাবুল। অধিবেশনে জেলার কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন এবং তারা নূতন নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। নবনির্বাচিত সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন কবির ফরিদগঞ্জ উপজেলার পোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি দীর্ঘদিন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই নেতা জেলা-উপজেলার গণ্ডি পেরিয়ে সারাদেশে বেশ পরিচিত মুখ। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. হাসেম খান চাঁদপুর সদর উপজেলার হিন্দুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এর আগে তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করে শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করবো। আমাদের জানা মতে, স্মরণকালে এই প্রথম চাঁদপুর শহরের কিংবা চাঁদপুর সদর উপজেলার কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত নন এমন একজন প্রধান শিক্ষককে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এটা নির্বাচিত ব্যক্তির বিশেষ যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ। দীর্ঘ সময় চাঁদপুর জেলার সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয় হাসান আলী’র প্রধান শিক্ষক যথাক্রমে হাফেজ আহমেদ ও মো. আবুল বাসার বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁদের অবসরগ্রহণের পর এ দায়িত্বে আসেন চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরত্বে অবস্থিত ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল। নিশ্চয়ই তিনি এই পদে সমাসীন হবার যোগ্যতাসম্পন্নই ছিলেন। তাঁর মেয়াদ শেষে সভাপতি ও সম্পাদকের কোনো পদেই চাঁদপুর শহরে কর্মরত কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকই আসতে পারলেন না গত শনিবারের জেলা কাউন্সিলে। এটা কারো ব্যর্থতা নয়, বরং যোগ্য ব্যক্তির অবস্থান যেখানেই হোক না কেনো, তাঁকে নেতৃত্বের যোগ্য অধিষ্ঠানে অধিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তের বহিঃপ্রকাশ। এমনটি অস্বাভাবিক, তবে আমাদের কাছে সঠিক সিদ্ধান্তই মনে হচ্ছে। সেমতে আমরা নূতন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। দেখার অপেক্ষা, নূতন এই নেতৃত্ব পূর্বসূরিদের চেয়ে কতোটা সফল হন। আমরা তাঁদের সাফল্যই কামনা করছি।