প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫, ০৩:০০
শ্রীনগরে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট

আর মাত্র তিন দিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা—কোরবানির ঈদ। ঈদুল আজহার অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হলো কোরবানির পশু। তাই দেশের অন্যান্য এলাকার মতো মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরেও জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো।
|আরো খবর
শ্রীনগরের দেউলভোগ, রাড়িখাল, ভাগ্যকুল, কামারগাঁও ও ঐতিহ্যবাহী বাগড়া হাটসহ সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। ক্রেতারা নিজ নিজ সামর্থ্য ও পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন আকৃতির গরু, ছাগল প্রভৃতি কোরবানির পশু কিনছেন। মূল্য শুরু হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা থেকে শুরু করে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
???? পশু বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ
শ্রীনগরের এক পশু বিক্রেতা সুলাইমান জানান, তিনি তার খামার থেকে ২০টি কোরবানির গরু হাটে এনেছেন। এসব পশুর মূল্য এক লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন। তার ভাষায়, “এই হাটে ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। আশা করছি ঈদের আগেই সব বিক্রি হয়ে যাবে।”
শরীয়তপুর থেকে আগত আরেক বিক্রেতা খলিল মিয়া মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত এক পশুর হাটে গরু বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, “এই হাটের ইজারাদার খুবই সহায়তাপরায়ণ। হাট ব্যবস্থাপনা ভালো হওয়ায় বিক্রেতাদের সুবিধা হচ্ছে।”
ক্রেতার সন্তুষ্টি প্রকাশ
ক্রেতা ইব্রাহিম খলিল দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে একটি গরু কেনেন। তিনি বলেন, “হাটে অনেক পশু থাকায় আমি আমার পছন্দের গরুটি পেয়েছি। দামও মোটামুটি ঠিক আছে। আমি সন্তুষ্ট।”
ব্যবস্থাপনায় প্রশংসিত ইজারাদার
শ্রীনগরের ঐতিহ্যবাহী বাগড়া হাটের ইজারাদার শফিকুল ইসলাম পান্নু মুন্সী নিজ খরচে পদ্মা নদীর পাড়ে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করেছেন। এতে পশুবাহী যানবাহনের চলাচলে সহজতা এসেছে এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা তার প্রশংসা করেছেন।
বিক্রেতাদের আশাবাদ
বিভিন্ন হাটের বিক্রেতারা জানান, “এইভাবে ক্রেতারা যেভাবে আসছেন এবং পশু কিনছেন, তাতে আমরা আশাবাদী—ঈদের আগেই সব পশু বিক্রি হয়ে যাবে।”
ডিসিকে/এমজেডএইচ