রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫, ১১:২৪

সড়কটির ব্যাপারে বিশেষ বিবেচনা করুন

অনলাইন ডেস্ক
সড়কটির ব্যাপারে বিশেষ বিবেচনা করুন

'পুরাণবাজার-লোহারপুল-দোকানঘর বাজার সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিন।। ঘটছে দুর্ঘটনা, জনদুর্ভোগ চরমে' শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে নাতিদীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে মো. মিজানুর রহমান লিখেছেন, বড়ো বড়ো গর্ত আর খানাখন্দে বেহাল অবস্থা চাঁদপুর পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত পুরাণবাজার- লোহারপুল-দোকানঘর বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটির। এক যুগেরও উপরে সড়কটি মেরামত না হওয়ায় প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের। ঘটছে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা। গাড়ি চালক ও যাত্রীরা বলছেন, সড়কের ভঙ্গুর অবস্থা, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, চাঁদপুরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রখ্যাত পুরাণবাজার থেকে লোহারপুল হয়ে দোকানঘর বাজার পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। বিশেষ করে পুরাণবাজার-লোহারপুল, বাদিয়াবাড়ি মোড়, জাফরাবাদ হয়ে এমদাদিয়া মাদ্রাসা-দোকানঘর পর্যন্ত প্রায় দেড় থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তাটির একেবারেই বেহাল দশা অবস্থা। পুরো রাস্তাজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। ধুলাবালিতে যেনো রাস্তার উপর বায়ূ দূষণ হচ্ছে। রাস্তায় একেকটি গর্ত ২ থেকে ৪ ফুট, গভীরতা ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত। রাস্তার ইট-সুড়কি, পাথর, বিটুমিন উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় নালা। রাস্তার দুপাশে পথচারীদের চলাচলের ফুটপাতও নেই।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জিল্লুর রহমান জুয়েল নির্বাচনকালীন সময় রাস্তা পাকা ও অবকাঠামো নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই রাস্তাটির সংস্কারে একটি প্রজেক্টও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু সেটি অনুমোদন না হওয়ায় এই রাস্তায় জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংকার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, কয়েক মাস পরই বর্ষাকাল আসছে। রাস্তাটি দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে মেরামত প্রয়োজন। বিশেষ করে বর্ষাকালে বয়োজ্যেষ্ঠ ও জরুরি রোগীদের কষ্টের সীমা থাকে না। কারণ, বৃষ্টির সময় রাস্তাটি হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী। ড্রেন নির্মাণসহ রাস্তাটির অবকাঠামো নির্মাণ হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েক হাজার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করেন তিনি।

চালকরা জানান, বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন সড়কের গর্তের মধ্যে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষজন কষ্ট পাচ্ছে। পিচ ঢালাই উঠে ছোট পাথর গুঁড়ো ও ইটের সুড়কিগুলো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যার ফলে গাড়ি ব্রেক করলে স্লিপ কেটে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এসব কারণে যানবাহন চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এই রাস্তাটির বিষয়ে চাঁদপুর পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া বলেন, রাস্তাটির টেকসই কাজের জন্যে মন্ত্রণালয়ে প্রজেক্ট পাসের অপেক্ষায় আছে। এমনিতেই পৌরসভার ফান্ড নেই। আপাতত খোয়া ফেলে রাস্তাটি সমান করার চেষ্টা করা হবে।

আমরা পুরাণবাজার-লোহারপুল-দোকানঘর বাজার সড়কের উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যাতে বিশেষ বিবেচনায় দ্রুত পাস করে দেয়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ও সচিব মহোদয়ের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। নির্বাচিত মেয়র অধিষ্ঠিত থাকলে তিনি যেভাবে তদবির করতে পারতেন, সেভাবে তো প্রশাসকদের সুযোগ নেই। সেজন্যে প্রজেক্ট পাসের ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু সে বিলম্বটা এখন আর সহনীয় মাত্রায় নেই। উল্লেখিত সড়কটির দুরবস্থা নিরসন চাঁদপুর পৌরসভার সবচে' বড়ো 'ক্রাইং নীড' বলে চাঁদপুর শহর ও সন্নিহিত এলাকার বাসিন্দামাত্রই মনে করেন। আমরা সে আলোকে সড়কটি যাতে টেকসই উন্নয়নের আওতায় চলতি শুষ্ক মৌসুমেই তথা আগামী বর্ষার আগেই আসতে পারে সেজন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ তৎপর হবার জন্যে জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়