সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ০০:২৩

শাহরাস্তিতে স্কুল মাঠে পৌরসভার ময়লার ভাগাড়

দুর্ভোগ ও দুর্দশায় শত শত শিক্ষার্থী

মো. মঈনুল ইসলাম কাজল
দুর্ভোগ ও দুর্দশায় শত শত শিক্ষার্থী

শাহরাস্তি পৌরসভার প্রসিদ্ধ মেহের কালীবাড়ি বাজারে অবস্থিত নিজ মেহের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ এখন পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ স্থান হিসেবে পৌর কর্তৃপক্ষ অনায়াসে এখানে ময়লা ফেলে যাচ্ছে।

উপজেলার সবচেয়ে বড়ো ব্যবসায়িক কেন্দ্র মেহের কালীবাড়ি। ময়লার ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে শাহরাস্তি পৌর একাডেমী ও সোনালী ব্যাংক শাহরাস্তি উপজেলা শাখা। শহরের একমাত্র খেলাধুলার ঐতিহাসিক মাঠ এটি। প্রতিদিন বিকেলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই মাঠে খেলাধুলায় মেতে উঠতো।

ময়লা ফেলার পর থেকে এই মাঠটি খেলার অনুপযোগী হয়ে যায়। শাহরাস্তি পৌর একাডেমীর শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে পাঠ গ্রহণ করছে। এছাড়াও নিজ মেহের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী বায়ু দূষণের শিকার হচ্ছে।

ব্যস্ততম জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে পৌর কর্তৃপক্ষের এ কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল।

শাহরাস্তি পৌর একাডেমীর অধ্যক্ষ আলী আজগর মিয়াজী বলেন, “আমি নির্যাতনের শিকার। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিষেধ করা হলেও তারা প্রশাসনের নির্দেশে এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলেন।”

নিজ মেহের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আযাদ হোসেন জানান, “ময়লার কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে।”

বাজারের চা বিক্রেতা তারেক হোসেন জানান, “দুর্গন্ধের কারণে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

ফল ব্যবসায়ী বিপ্লব মজুমদার বলেন, “আমরা অনেক কষ্টে এখানে বসে আছি, ময়লার গন্ধে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।”

শাহরাস্তি পৌরসভার প্রধান সহকারী নজরুল ইসলাম বলেন, “জায়গা না থাকায় আপাতত এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। অতি অল্প সময়ে ময়লাগুলো সরিয়ে নেয়া হবে।”

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তোফায়েল আহম্মদ শেখ জানান, “পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় মেহের কালীবাড়ি স্কুল মাঠে ফেলা হয়েছে। বৃষ্টি কমে আসলে মাঠ থেকে ময়লাগুলো সরিয়ে নেয়া হবে।”

উল্লেখ্য, ময়লা ফেলতে ডাম্পিং স্টেশনের জন্যে পৌর কর্তৃপক্ষ জায়গা কিনলেও এখনো পর্যন্ত তার কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

— ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়