প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২২:৩৪
বাবুরহাটে চুরির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষোভ প্রকাশ

চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকায় প্রবাসীর বাড়িতে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যাবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ২০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ২ আসামি রয়েছে জামিনে। সদর মডেল থানা পুলিশ বলছে, আসামি আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিন প্রবাসী আবুল কালাম প্রধানিয়ার বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া ক্ষতিগ্রস্ত সালমান খানের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, গত ২১ অক্টোবর রাতে আমার বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। ওই দিন থানায় জিডি করা হয়।
পরদিন বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) সকালে আমার স্ত্রী শাবনুর বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় ২ জনকে আটক হয়। তারা হলো : চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রিমন হোসেন রকি ও কাশেম পাটওয়ারীর ছেলে আরাফ উদ্দিন নয়ন।
মামলার বাদী শাবনুর বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ২ চোর শনাক্ত হয়। তাদেরকে পুলিশ আটক করে। তারা কীভাবে আবার জমিনে মুক্ত হয়, বলতে পারবো না। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি এবং আমার চুরি যাওয়া ২ ভরি স্বর্ণের চেইন, এক ভরি ওজনের ২টি বালা, দুটি স্যামসাং মোবাইল (এস-২০ ও এ-১২ মডেল) এবং নগদ ২২ হাজার টাকা ফেরত চাই।
সালমান খান বলেন, প্রায় ২০ দিন অতিবাহিত হলেও চুরির ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি আটক হয়নি। ২২ অক্টোবর আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় ২ জনকে পুলিশে সোপর্দ করি। তাদেরকে আদালতে চালান দেয়া হলেও গত ২৬ অক্টোবর তারা জামিনে চলে আসে। ওইদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আমার চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে জামিনে থাকা ২ জনসহ প্রধান আসামিকে আটক করার দাবি করছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ঘটনার দিন ওই ৩ যুবক একসাথে এসেছে। তারা ২ জন নিচতলায় ছিলো। একজন চতুর্থ তলায় উঠে এবং তালা ভেঙ্গে জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তাদের ৩ জনের মধ্যে একাধিকবার কথা হয়। ঘটনার পরে একজন একা বের হয়। ২ জন অন্য রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যায়। যদিও বলাবলি হয়, রকি ও আরাফ নামে দু ছেলে বাসা ভাড়ার জন্যে আসছে। কিন্তু তারা আমার সাথে কথাও বলেনি এবং ফোনও দেয়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুন বলেন, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া জানান, মামলা হওয়ার পর আমরা ঘটনাটি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সিসিটিভির ফুটেজ আমাদের সংগ্রহে আছে। ২ জনকে আটক করা হয়। তারা ২ জন জামিনে আছে। প্রধান আসামিকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, আমি যতটুকু জেনেছি সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। থানার ওসিকে ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে বলা হয়েছে। সূত্র : নিউজজিটুয়েন্টিফোর.কম








