প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৩:০১
নোয়াখালীতে জামায়াতের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলায় বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক (৫৩)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
|আরো খবর
বুধবার (২০ আগস্ট ২০২৫) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে,
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা ৬নম্বর ওয়ার্ডের খাল বেপারী বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মানিক একই বাড়ির আবুল কালামের ছেলে এবং বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত ছিলো।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মানিক কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলার আসামি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা গেইটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মী গুলিতে মারা যান। এই হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড়ো ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের নেতাকর্মী হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমাকে মামলায় আসামি করা হয়।