প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ২১:৪৫
মতলব উত্তরে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

মতলব উত্তর উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে অডিটর মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
|আরো খবর
ভুক্তভোগীরা বলছেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের কাজ শেষ করে বিল উত্তোলনের জন্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতিদের বাধ্যতামূলক ১ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, টাকা না দিলে ফাইল আটকে রেখে বিল অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রকল্পের বিল অনুমোদনের সময় হিসাবরক্ষণ অফিসের অস্থায়ী কর্মচারী উম্মে সানজিদা আক্তারের মাধ্যমে এ অর্থ আদায় করা হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বাজেটে প্রায় ৪০০টি প্রকল্পের বিল পাস করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টি প্রকল্প বিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সেলিম খান বলেন, হিসাবরক্ষণ অফিস আমাদের আওতায় নয়। প্রকল্প বিল উত্তোলনে টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। কেন টাকা নেওয়া হয়, সেটা আমার জানা নেই।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রকল্প সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরেও মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি আগের মতোই রয়ে গেছে। ঘুষ ছাড়া সরকারি সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে উম্মে সানজিদা আক্তার বলেন, আমাকে কামাল স্যার টাকা রাখার অনুমতি দিয়েছেন। আমি শুধু তার নির্দেশে ফাইলপ্রতি ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছি।
এ বিষয়ে অডিটর কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কেউ যদি স্বেচ্ছায় টাকা দিয়ে যায়, তাহলে আমরা কী করবো? আর ১ হাজার টাকা করে নিলে আপনাদের সমস্যা কী? অফিস পরিচালনায় আমাদের কিছু খরচ আছে, এজন্যে টাকা নিচ্ছি।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কাজী মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, আমি একসঙ্গে তিনটি উপজেলার দায়িত্ব পালন করছি। প্রতিদিন অফিসে উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না। আপনার মাধ্যমেই শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।
।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, সরকারি সেবায় দুর্নীতির কোনো স্থান নেই। যদি প্রমাণিত হয় যে, প্রকল্পের বিল নিতে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : যুগান্তর।