সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

দলবেঁধে বেড়াতে যাওয়ায় এতো আনন্দ এর আগে কখনো পাইনি

রোমানা রুমকি ॥
দলবেঁধে বেড়াতে যাওয়ায় এতো আনন্দ এর আগে কখনো পাইনি

ভ্রমণ কার না ভালো লাগে? আর তা যদি হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। এটি অপার সৌন্দর্যের অনন্য লীলাভূমি। আপনি হয়তো অনেকটা খালি হাতেই এই সমুদ্র সৈকতে যেতে পারেন। কিন্তু আসার সময় ঠিকই অনেক স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারবেন।

বরাবরই আমি ঘুরতে খুব পছন্দ করি সমুদ্র কিংবা পাহাড়ে। এখানকার কোনো কিছুই উপেক্ষা করার সাহস আমার নেই। আসলে সাগরের খুব কাছে গেলে বুঝতে পারবেন সমুদ্র ঠিক যতটা দীর্ঘ ততটাই সহনশীলতার প্রতীক। এই দীর্ঘতম সাগরের কাছে গেলে কিছু শিখতে পারবেন, কীভাবে সমুদ্রের মতো বিশাল হওয়া যায়। আমি প্রতিবছর ফ্যামিলি ট্যুরে পাহাড় কিংবা সমুদ্রে ঘুরে আসতে পছন্দ করি। তাই এবার শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে যখন শুনি সাংবাদিক পরিবারসহ ঘুরতে যাওয়ার একটি পরিকল্পনা হয়েছে, তাতে আমি খুব খুশি হই। আমরা যথারীতি ২টি বাসে ১০০-এর বেশি সাংবাদিক পরিবারের লোক ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে রওনা হই কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। রাতের দীর্ঘ লম্বা সফর শেষে আমরা পৌঁছাই ২ ফেব্রুয়ারি সকালে। সেখানে সবাই বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল লাবণীতে উঠি। তারপর সবাই ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা শেষ করে লাবণী বিচে চলে যাই।

আসলে পরিবারের সাথে সবাই বেড়াতে যায়, কিন্তু দল বেঁধে বেড়াতে যাওয়ার মতো আনন্দ এর আগে আর পাইনি। সবাই মিলে আমরা এতো আনন্দ করেছি যা বলে প্রকাশ করা যাবে না। এতো সদস্যের একটা ট্যুরে শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দিক-নির্দেশনায় বিভিন্ন খেলার আয়োজনে নারী, শিশু ও সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং এর ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন বিচে ঘুরতে যাওয়ার সময় দেয়া হয় ক্যাপ, টি শার্ট এবং বিশেষ করে নারীদের জন্যে ছিলো নানা রঙের শাড়ি। সবাই মিলে আনন্দ করে কখন যে ৪ দিন চলে গেলো আমরা টেরই পেলাম না। কক্সবাজার থেকে আসার দিন আমরা বাংলাদেশের আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঘুরে আসি। সেখানকার ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারাটি নজর কাড়ে শিশুসহ সাংবাদিক পরিবারের সকলের।

শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সুযোগ্য সভাপতি মঈনুল ইসলাম কাজল বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছায় এতো সুন্দর একটি স্থাপনা বাস্তবায়ন হয়েছে। তারপর আমরা বিকেল ৫টার দিকে সেখান থেকে রওনা হই, যদিও আসতে ইচ্ছে করছিলো না। কিন্তু কী করবো আমাদেরতো নিজ গন্তব্যে ফিরতেই হবে। অনেক আনন্দ, মজা করলাম, তারপর আমরা কক্সবাজার থেকে রওনা দিলাম চট্টগ্রামের দিকে। আরও অবাক করার বিষয় হলো, নদীর নিচে বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যানেল। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্য দিয়ে পৌঁছে যাই নদীর অপর প্রান্তে। এ সময় আমাদের মনে হয়েছিলো এ যেন রূপকথার কোনো রাজ্য! আমাদের দেশ যুক্ত হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের উন্নতমানের দেশের একটিতে। টান টান উত্তজনা বিরাজ করছিলো শিশুসহ ছোট-বড় সকলের মাঝে। মনে হলো আমরা চোখের পলকেই পৌঁছে গেলাম কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে। আসলে শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের আয়োজনে এবং সুযোগ্য সভাপতি মঈনুল ইসলাম কাজলের নেতৃত্বে এত সুন্দর একটি ট্যুর উপহার পেয়েছি যে, আমরা চাই প্রতি বছর এমনি করে আয়োজনের ব্যবস্থা হোক। এতে সকলের মনেরও পরিবর্তন ঘটবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়