প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৬
মসজিদ কমিটির সভাপতিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে একাধিক মাদক মামলার আসামি থানায় জিডি

চাঁদপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মঠখোলা এলাকার একাধিক মাদক মামলার আসামি ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মো. মাসুদুর রহমান (৪০) আবারও আলোচনায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাসুদুর রহমানের মাদক ব্যবসার কারণে তারা দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে রয়েছেন।
সম্প্রতি চাঁদপুর সদর মঠখোলা এলাকার বাসিন্দা মঠখোলা শাহী জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. ফজলুল হক মাসুদুর রহমানকে মাদক ব্যবসা বন্ধের কথা বলার পর মাসুদুর রহমান দেশীয় অস্ত্রের মুখে সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি দেন তাঁকে। এমনকি মুঠোফোনে এবং মুখোমুখি হলে আক্রমণাত্মক আচরণ করেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে কল রেকর্ডও রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, মাসুদুর রহমানের নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আট-দশটি মাদকের মামলা রয়েছে। বছরে অন্তত ছয় মাস জেলেই কাটাতে হয় তাকে। মাত্র গত দু মাস আগে শাহরাস্তি এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক পরিবহনের সময় ধরা পড়লেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা ও ঢাকার ওয়ারি থানায় এবং চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় মামলা রয়েছে।
এলাকার মানুষ জানান, গভীর রাত পর্যন্ত মাসুদ মাদক কেনাবেচা চালিয়ে যান। এছাড়া জবরদখল করে জমিতে ঘর তুলে বসবাস করছেন। এমনকি যে জমির এপর তিনি বর্তমানে চলাফেরা করছেন সেটিও ফজলুল হকের।
ঘটনাটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা ফজলুল হককে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ফজলুল হক বাধ্য হয়ে গত ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১৪২০) করেন।
এলাকাবাসী জানান, মাসুদুর রহমানের মাদক ব্যবসা ও তৎপরতার কারণে পুরো মঠখোলা এলাকা অস্থির হয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছেন। মাসুদুর রহমানের সাথে যারাই জড়িত রয়েছে এবং তাকে মাদক ব্যবসায়িক কাজে যারা সহযোগিতা করছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া জানান, উল্লেখিত বিবাদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের জিডি তদন্ত সাপেক্ষে বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করা হবে।