সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

বিতর্ক শুধু জ্ঞান আহরণের জন্যেই করি : ছুবহা

অনলাইন ডেস্ক
বিতর্ক শুধু জ্ঞান আহরণের জন্যেই করি : ছুবহা

রাওয়ান ছুবহা হচ্ছে দলপ্রধান। বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হাজীগঞ্জ-এর বিতর্ক দলের দলপ্রধান হিসেবে সে দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্কে অংশ নিচ্ছে। এই বিতর্কে তার দলের সাফল্য উল্লেখযোগ্য। সেজন্যেই আজকের ‘জয়যাত্রা (কোয়ার্টার ফাইনাল) পর্বে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। গত ২ মার্চ ‘অগ্রযাত্রা’ পর্বে ‘বিতর্কায়ন’ তাকে মুখোমুখি করে তিনটি প্রশ্ন নিয়ে। জবাবও দিয়েছে সুন্দরভাবে।

বিতর্কায়ন : পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক করছো কতোদিন? এবারই প্রথম, না আরো বিতর্ক করেছ?

রাওয়ান ছুবহা : না, আমি পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক আর করিনি। এবারই দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আমার আগমন। তবে আমি আমার বিদ্যালয়ের বহু বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছি এবং বহুবার শ্রেষ্ঠ বক্তাও নির্বাচিত হয়েছি। এখানে আমি একটি কথা বলতে চাই, বিদ্যালয়ের গতানুগতিক যে বিতর্কগুলো আমি করেছি সেখানে আমি এতো জ্ঞান অর্জন করিনি, যতোটা না এই কয়েকদিনের দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্কে অংশগ্রহণ করে আমি অর্জন করেছি।

বিতর্কায়ন : বিতর্ক কেন করছো? শুধু জেতার জন্যে, না শেখার জন্যে?

রাওয়ান ছুবহা : আমার মতে, বিতর্কের অপর নাম জ্ঞান এবং জ্ঞানের অপর নাম বিতর্ক। তাই এ কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে, বিতর্ক শুধুমাত্র আমি জ্ঞান আহরণের জন্যেই করি। বিতর্কের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মুক্তির পথ আমাকে বিস্মিত করে। যখন একটি সমস্যা সমাধানে কেবলমাত্র একটি পন্থা নিয়েই এগোই, তখন বিতর্ক আমায় হুজুগে মাতালরা যে পথে এগোয় সে পথ হতে বের করে আনে এবং বলে এটিই সমাধান, এটিই সম্ভাবনা এবং এটিই মুক্তি।

বিতর্কায়ন : বিতর্ক চর্চায় তোমার বিদ্যালয় এবং তোমার দলের বিতার্কিকরা কতোটুকু আন্তরিক?

রাওয়ান ছুবহা : শুধু আন্তরিকতা নয়, আমি দেখে অবাক হই যখন আমার বিদ্যালয় এবং আমার দলের বিতার্কিকরা সব স্বার্থ উপেক্ষা করে শুধুমাত্র বিতর্কের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করে। বিশেষ করে আমি আমার দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক শরীফুল ইসলাম স্যারের কথা বলতে চাই। একজন মানুষ যে কতোটা আন্তরিক হতে পারে তা ওনাকে না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না। আর বাকি রইলো আমার দলের বিতার্কিকদের কথা। ওরাও যথেষ্ট আন্তরিক। বিশেষ করে দলের দ্বিতীয় বক্তা মাদিহা আপু, দলের প্রথম বক্তা ইন্তা আপু। আসলে ওনাদেরকে দেখে আমি অবাক হই যে, কীভাবে দশম শ্রেণিতে পড়ে এতো চাপ সামলানোর পরও বিতর্কের প্রতি আত্মনিবেদন নিশ্চিত করা যায়!

পরিশেষে বলবো, আমাদের পিতা-মাতাও আমাদের সার্বিকভাবে সাহায্য করে আন্তরিকতার ষোলকলা পূর্ণ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়