প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৩
আসিফ আকবর মাতিয়ে গেলেন ভার্জিনিয়া!

যার কথা লিখতে যাচ্ছি তিনি সবার পরিচিত। তিনি হলেন আসিফ আকবর। আসিফ কুমিল্লা মহানগরীর পুরাতন চৌধুরী পাড়া এলাকার ছেলে। তিনি একজন অসম্ভব জনপ্রিয় বাংলাদেশী সংগীত তারকা, জনপ্রিয় পপ-ধারার সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা। অনেক জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকরা ভালোবেসে তাকে বাংলা গানের যুবরাজ বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। ২০০১ সালে প্রকাশিত তার প্রথম সঙ্গীত অ্যালবাম ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’। তার প্রথম অ্যালবাম ৫৫ লক্ষ+ বৈধ কপি বিক্রি হয়েছিল, যা বাংলাদেশের অডিও ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই অ্যালবামের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তাই সবার জন্যে তাঁর এবং আমজনতার প্রিয় গানটির লিরিস্ক দিয়ে দিলাম..
বুকের জমানো ব্যথা কান্নার নোনা জলে
ঢেউ ভাঙে চোখের নদীতে।
অন্যের হাত ধরে চলে গেছো দূরে।
পারি না তোমায় ভুলে যেতে।
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়।
ভূল না হয় আমারি ছিলো বেশি
করনি ক্ষমা করেছো দোষী
অভিমান লুকিয়ে রাখো যদি
থাকবো সারাজীবন অপরাধী
প্রতিশোধ নেবে নাও আমি বাধা দেবো না
একবার বলে যাও কেন আমার হলে না।
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়।
ভাবিনি কখনো যাবে চলে
এভাবে আমাকে একা ফেলে।
স্বপ্ন নিজের হাতে ভাঙলে তুমি
একা কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত আমি।
প্রতিশোধ নেবে নাও আমি বাধা দেবো না
একবার বলে যাও কেন আমার হলে না।
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়।
বুকের জমানো ব্যথা কান্নার নোনা জলে
ঢেউ ভাঙে চোখের নদীতে।
অন্যের হাত ধরে চলে গেছো দুরে
পারিনা তোমায় ভুলে যেতে।
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়
ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়
ও প্রিয়া.... তুমি কোথায়..।।
এছাড়াও ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পর পর ৬ বছর অ্যালবাম বিক্রির দিক থেকে শীর্ষে ছিলেন আসিফ, যা বাংলাদেশের অডিও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এক বিরল ঘটনা। পাশাপাশি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বার মেরিল প্রথম আলো অ্যাওয়ার্ড জয়ী আসিফ আকবর ২০১৩ সালে বিরতি ভেঙে নতুন অ্যালবাম ‘এক্সপ্রেম’ দিয়ে আবারও রাজকীয় স্টাইলে ষষ্ঠবারের মতো মেরিল প্রথম আলো সেরা গায়কের পুরস্কার জিতে নিয়ে সবাইকে হতবাক করে দেন! শুধু তাই নয়, ১৯৯৮ সালে তিনি চলচ্চিত্রে গান করেন এবং ২০১৯ সালে ‘গহীনের গান’ চলচ্চিত্রে আভিনয় করেন।
আসিফ আকবরের একক অ্যালবাম ৩০ টি, মিশ্র ও দ্বৈত অ্যালবাম প্রায় ৩০ টি। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার সহ অগণিত পুরস্কার পেয়েছেন। সদা স্পষ্টভাষী আসিফ আকবর। জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে গান গেয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আসিফ। তার ‘’বেশ বেশ বেশ, সাবাস বাংলাদেশ” গানের জনপ্রিয়তার বিচারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অঘোষিত থিম সং-এ পরিণত হয়েছে। তিনি ক্যারিয়ারে অসংখ্য স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
আসিফ আকবর বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী, যার জনপ্রিয়তা এবং আধিপত্য এখন পর্যন্ত সমানভাবে বিরাজমান। জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী দীর্ঘ বছর পর আবার ভার্জিনিয়া হোপফুল হ্যান্ড এবং জোনাস মাল্টিমিডিয়ার যৌথ উদ্যোগে গান করতে আসলেন। দর্শক তার গান মুগ্ধ হয়ে শুনলেন এবং তাঁর সাথে গাইলেন। চমৎকার পরিবেশনা ছিলো। আসিফ আকবর ভাই আপনি এভাবেই মানুষের মন জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। আপনার জন্য আফুরান ভালোবাসা থাকল।
ড. আব্দুস সাত্তার : লেখক ও সাংবাদিক, ওয়াশিংটন ডিসি।