সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

অনন্যার গৌরবের ৫০ বছর পদার্পণ : নিজস্ব ৫টি নাটক মঞ্চায়ন
শহীদ পাটোয়ারী

হৃত্বিক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকীর মতে ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের--এ মাটি মানবতার’। আমরা অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী এ ধারার বাইরে নয়। দেশব্যাপী শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় আছে বলেই জঙ্গি-তৎপরতা অনেকাংশে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গি তৎপরতার অনৈতিক-ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপগুলো দেশব্যাপী নাট্যকর্মীরা অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্রচারণা করছে বলে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সোচ্চার থাকছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন বাংলাদেশ। পেয়েছি পৃথক মানচিত্র, ভূখণ্ড এবং স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ও জাতীয় পতাকা। আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি। যা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতে পারি। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি আজীবন সংগ্রাম করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তাঁর প্রতি চাঁদপুরের অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

স্বাধীনতোত্তর বাংলাদেশে যে নাট্যচর্চার সূচনা হয়েছিল, চাঁদপুরের অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী সে নাট্যচর্চার অন্যতম অংশীদার। বাংলাদেশের নাট্যজগতে শুধু রাজধানীর মঞ্চনাটক নয়, বাংলাদেশের ৬৪ জেলা এবং বিভাগীয় শহরগুলোর মঞ্চনাটকগুলো মূলত প্রাণশক্তি। রাজধানী ঢাকার বাইরেও শ’ শ’ নাট্য সংগঠন স্বাধীনতা লাভের পরপরই ক্রমান্বয়ে গড়ে উঠেছে। এদের নাট্যচর্চার জন্যে নির্মিত হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চ ছাড়াও পথেপ্রান্তরে নাটক মঞ্চস্থ হয়ে থাকে।

‘আমরা অনন্যা-নাটক আমাদের রক্ত-ঘামের ফসল’ মূলত এ শ্লোগানকে ধারণ করে ১৯৭৪ সালের ২৪ অক্টোবর চাঁদপুরের সে সময়কালের বেশ ক’জন শিক্ষিত যুবক অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন। চাঁদপুর সরকারি কলেজের সম্মুখে তৎকালীন ‘হোটেল আকবরী’তে চা খেতে খেতে আলাপচারিতার মাঝে সংগঠনের নাম, মনোগ্রাম ও পতাকাসহ সর্ববিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং তারপর তারা মাঠে নেমে পড়েন। প্রতিষ্ঠাকালীন টগবগে যুবকেরা হলেন--অ্যাডভোকেট হরিপদ বুদা (বর্তমানে প্রয়াত), সাংবাদিক অজিত কুমার মুকুল (বর্তমানে প্রয়াত), মোঃ হানিফ, শাহ্ আলম স্বপন ও সফিকুর রহমান। প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে সাংবাদিক অজিত কুমার মুকুল এবং অ্যাডঃ হরিপদ চন্দ বুদা যথাক্রমে ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সালে পরপারে চলে যান। শাহ্ আলম স্বপন ও সফিকুর রহমান জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিষ্ঠার বেশ ক'বছর পর চাঁদপুর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম সদস্য মোঃ হানিফ এখনও অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সাথে জড়িত আছেন।

অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার পর প্রথম মঞ্চ নাটক ছিলো অ্যাডঃ হরিপদ চন্দ বুদার লেখা নাটক ‘জীবন বৃত্ত পেরিয়ে’। নির্দেশনায় ছিলেন মোঃ হানিফ। যতদূর জানা গেছে, প্রথম নাটক মঞ্চায়নের পর অনন্যাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক প্রযোজনা নিয়ে সংগঠনটি এগোতে থাকে। এ অগ্রযাত্রায় নতুন করে সম্পৃক্ত হন আবুল হোসেন খান, ফরহাদ এমদাদী, আশরাফ আহমেদ, বিএম হারুন, রতন গাংগুলী, ছানানউল্যা খান, জয় নারায়ণ কুণ্ড, এমএ জামান খোকন, চম্পক সাহা, স্বপন সেনগুপ্ত, হাসিম প্রধানিয়া ও সম্পদ সাহা। পরবর্তীতে আরো সম্পৃক্ত হন দিলীপ দত্ত, সুরেশ দাস (ঝন্টু), খোরশেদ আলম, হর্ষ ওয়াস্তী বিল্লু, প্রদীপ দে, ফণী ভূষণ সাহা, নিরঞ্জন পাল, আনোয়ার হোসেন চুন্নু, আবদুস ছোবহান চুন্নু, তমাল ভৌমিক, জয়রাম রায়, জিএম শাহাজান, হেলাল সুখ ও হাবিবুর রহমান।

প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী ৪৭টি নাটক মঞ্চে এনেছে। যার প্রদর্শনী সংখ্যা ৫ শতাধিকের ঊর্ধ্বে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, আজ অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী পরিপূর্ণ ও শক্তিশালী নাট্যদল হিসেবে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন প্রতিষ্ঠার সাথে সাথেই ১৯৮২ সালে সদস্যপদ লাভ করেছিলো। কিন্তু দীর্ঘ ক'বছর ফেডারেশানের গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী সদস্যপদ রিনিউ এবং তথ্য-উপাত্ত না দেয়ায় সদস্যপদ স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে বেশ ক' বছরের ফেডারেশন ফি এবং তথ্য-উপাত্ত প্রদান করে পূর্বের সদস্যপদ পুনরুদ্ধার করে আনা হয়। অনন্যার মঞ্চস্থ (প্রযোজনা) নাটকগুলো হচ্ছে--জীবন বৃত্ত পেরিয়ে (প্রদর্শনী-৭), অন্ধকারের নিচে সূর্য (প্রদর্শনী-৮), বিষের পেয়ালা (প্রদর্শনী-৬), বিবর্ণ বিস্ময় (প্রদর্শনী-২০), সুবচন নির্বাসনে (প্রদর্শনী-২১), স্পার্টাকার্স জটিলতা (প্রদর্শনী-১০), ফলাফল নিম্নচাপ (প্রদর্শনী-৯), যোগফল শূন্য (প্রদর্শনী-৫), প্রতিধ্বনি (প্রদর্শনী-৭), এখানেই শেষ নয় (প্রদর্শনী-১), এবার ধরা দাও (প্রদর্শনী-৬), কী পেলাম (প্রদর্শনী-৮), কবর (প্রদর্শনী-৮), একটি অবাস্তব গল্প (প্রদর্শনী-২), কিন্তু নাটক নয় (প্রদর্শনী-১), আলোয় কালোয় (প্রদর্শনী-১), ডাকঘর (প্রদর্শনী-১১), শেষ কোথায় (প্রদর্শনী-৬), বৌদির বিয়ে (প্রদর্শনী-৯), মানুষ (প্রদর্শনী-৩), পোস্ট মাস্টার (প্রদর্শনী-১), সংবাদ কার্টুন (প্রদর্শনী-১), খাঁচার ভিতর অচিন পাখি (প্রদর্শনী-১), সভাপতি বলবেন (প্রদর্শনী-১), পাহাড়ি ফুল (প্রদর্শনী-১), মুক্তি-মুক্তি (প্রদর্শনী-২), সাত পুরুষের ঋণ (প্রদর্শনী-৭), তোমরাই (প্রদর্শনী-৩৩), ইঙ্গিত (প্রদর্শনী-৭৪), রয়েল বেঙ্গল টাইগার (প্রদর্শনী-১২), মহাপুরুষ (প্রদর্শনী-১), ঘুম দাও (প্রদর্শনী-৩), দেশের মানুষ (প্রদর্শনী-১৯), রাক্ষসী (প্রদর্শনী-৪০), ঘর জামাই (প্রদর্শনী-২০), বালক স্বরূপানন্দ (প্রদর্শনী-৪), একাত্তরের পালা (প্রদর্শনী-১৩), রাজাকারের ফাঁসি (প্রদর্শনী-৪), রূপভান (প্রদর্শনী-৫৩), দেবদাস (প্রদর্শনী-১), ফুল পরীর দেশে ও আমাদের স্কুল (প্রদর্শনী-১৬), ভাঙন (প্রদর্শনী-১৫), তেসরা এপ্রিল ১৯৭১ (প্রদর্শনী-৪), জীবন যেখানে যেমন (প্রদর্শনী-৬), নবাব সিরাজ-উদণ্ডদৌলা (প্রদর্শনী-৪), ১৯৭১ (প্রদর্শনী-৪) ও দৈনিক জীবন বাণী (প্রদর্শনী-৪)।

প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর অনন্যার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়ে আসছে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী গৌরবের ৫০ বছরে পা রেখেছে। ৫০ বছর পদার্পণকে অনন্যা পরিবার স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখার আনন্দে ক'টি পর্বে বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর ৫০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে ওইদিন সকালে অনন্যার সকল সদস্যের উপস্থিতিতে আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা পর্ব ও কেককাটা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া ৫০ বছর পদার্পণকে ঘিরে অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী নিজস্ব প্রযোজনাভিত্তিক ‘ফিরে দেখা’ শিরোনামে ৫ দিনব্যাপী নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে। চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় নাটকগুলো মঞ্চস্থ হয়। প্রচার-প্রচারণা এবং সাজ-সজ্জাবিহীন সাদামাটাভাবে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে ৫ দিনব্যাপী নাটক প্রদর্শনীর শুভ সূচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই ৫টি নাটক মঞ্চে আনয়নের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, অনন্যার সকল সদস্যকে জাগ্রত রাখা এবং টিম ওয়ার্ক সৃষ্টি করা। ৫ নভেম্বর রোববার থেকে ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নাটকগুলো সাবলীলভাবে মঞ্চস্থ হয়। ৫ নভেম্বর রোববার মঞ্চস্থ হয় মলিয়েরের কমেডি নাটক ‘ঘরজামাই’। নাট্যরূপ গোলাম সারোয়ার ও নির্দেশনায় শহীদ পাটোয়ারী। ‘ঘরজামাই’ নাটকের অভিনয় শিল্পীরা হলেন--মৃণাল সরকার, মোবারক সিকদার, শহীদ পাটোয়ারী, ফাতেমা জেরিন, রুনা আক্তার আশা, নাজমুল হাসান বাঁধন, কাবেরী চক্রবর্তী (জয়া) ও মুহাম্মদ আলমগীর। ৬ নভেম্বর সোমবার মঞ্চস্থ হয় আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘সুবচন নির্বাসনে’। নির্দেশনায় ছিলেন মোঃ হানিফ, সহকারী নির্দেশনায় জসীম মেহেদী। ‘সুবচন নির্বাসনে’ নাটকের অভিনয় শিল্পীরা হলেন--হেলাল সুখ, চন্দন সরকার, মৃণাল সরকার, জসীম মেহেদী, ফাতেমাতুজ জোহরা, তীর্থ ভৌমিক, মানিক দাস, জয়রাম রায় ও মুহাম্মদ আলমগীর। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার মঞ্চস্থ হয়েছিলো বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছোট গল্প অবলম্বনে নাটক ‘রাক্ষসী’। রচনা-মমতাজ উদ্দীন আহমদ ও নির্দেশনায় শহীদ পাটোয়ারী। ‘রাক্ষসী’ নাটকের অভিনয়শিল্পীরা হলেন--রুনা আক্তার আশা, নিহা মনি, রুমি আক্তার, প্রখর বড়ুয়া, মোঃ হানিফ, ফাতেমা জেরিন, চন্দন সরকার, শহীদ পাটোয়ারী, হারুন আল রশীদ, হৃদয় কর্মকার, শরীফুল ইসলাম হিমেল, ফাতেমাতুজ জোহরা, মানিক দাস, আখলাকুল ইসলাম লাকু, দীপক ভট্টাচার্য, মৃনাল সরকার, শাহরীমা আক্তার তমা, জয়রাম রায়, হেলাল সুখ, মুহাম্মদ আলমগীর ও জসীম মেহেদী। ৮ নভেম্বর বুধবার মঞ্চস্থ হয় ঐতিহাসিক নাটক ‘নবাব সিরাজ-উদণ্ডদৌলা’, রচনা ও নির্দেশনায়-মোঃ হানিফ ও সহকারী নির্দেশনায় হেলাল সুখ। ‘নবাব সিরাজ-উদণ্ডদৌলা’ নাটকের অভিনয়শিল্পীরা হলেন--হেলাল সুখ, রুনা আক্তার আশা, মেহেদী হাসান রানা, ফাতেমা জেরিন, জসীম মেহেদী, দীপক ভট্টাচার্য, হৃদয় কর্মকার, তীর্থ ভৌমিক, মুহাম্মদ আলমগীর ও মানিক দাস। ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মঞ্চস্থ হয়েছিলো লোক কাহিনীর গীতিময় নাটক ‘রূপভান’। এই নাটকের অভিনয়শিল্পীরা হলেন : চন্দন সরকার, শহীদ পাটোয়ারী, ফাতেমা জেরিন, জয়রাম রায়, কামরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান রানা, সারমিন আক্তার, রুমি আক্তার, মানিক দাস, ফাতেমাতুজ জোহরা, শরীফুল ইসলাম, মোঃ হানিফ, হারুন আল রশীদ, রুনা আক্তার আশা, মুহাম্মদ আলমগীর, জসীম মেহেদী, শাহরীমা আক্তার তমা, হৃদয় কর্মকার, দীপক ভট্টাচার্য ও তীর্থ ভৌমিক। নাটক রচনায় হীরেন দে, নির্দেশনায় শহীদ পাটোয়ারী, সহকারী নির্দেশনায় বি এম ছোবহান চুন্নু।

৫ দিনব্যাপী নাটকের নেপথ্যে মঞ্চের আলো, মিউজিক, সংগীত ও তাল বাদ্যে সহযোগিতায় ছিলেন মৃনাল সরকার, মোঃ হানিফ, মাস্টার খোকন, সৈকত মজুমদার সিজার, কাজী কাবীসা, সাফানা নামরীন মেধা, মামুন মুন্সী ও সাফিকুল ইসলাম। পোশাক ও রূপসজ্জায় সহযোগিতায় ছিলেন--সাধনা সরকার, অনামিকা, সীমা আক্তার, রুনা আক্তার আশা, ফাতেমাতুজ জোহরা, দীপক ভট্টাচার্য ও ফাতেমা জেরিন এবং কুমিল্লার এমরান হোসেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মোবারক সিকদার, কামরুল ইসলাম ও মুহাম্মদ আলমগীর। নাটকগুলোর প্রযোজনা অধিকর্তা ছিলেন মৃনাল সরকার।

৫ দিনব্যাপী নাট্যোৎসবে সবচে' কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সাহিত্য একাডেমি, শিশু একাডেমি সহ অনুপম নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন গোবিন্দ মণ্ডল ও কার্তিক সরকার এবং অনন্যা’র সদস্য বিশ্বনাথ চৌধুরী (বিষু)কে।

আমাদের আয়োজনে প্রতিদিন চাঁদপুরের নাট্যসংগঠনের প্রাণপ্রিয় নাট্যবন্ধু ও নাট্যশিল্পীরা উপস্থিত থেকে উৎসাহিত করেছেন, তাদের প্রতি রইলো অনন্যার কৃতজ্ঞতা। পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের যুদ্ধ মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। আমাদের অগ্রযাত্রা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া। রাজনীতির নামে যারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

শহীদ পাটোয়ারী : সভাপতি, অনন্যা নাট্য গোষ্ঠী, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়