বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫২

এস আই টুটুলের সাথে ১৫ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক

ড. আব্দুস সাত্তার
এস আই টুটুলের সাথে ১৫ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক

যায় দিন, যায় একাকী

তার বিহনে কেমনে বলো থাকি......

আমার প্রিয় একজন বাংলাদেশী গায়ক, সুরকার, গীতিকার ও অভিনয়শিল্পী এস আই টুটুল। সবার প্রিয় একটি গান দিয়েই আজকের লেখা শুরু করলাম। এস আই টুটুলের সাথে আমার পরিচয় প্রায় ১৫ বছর আগে। তিনি এসেছিলেন ‘ওরা এগারো জন’ সংগঠন আয়োজিত ২০১০ সালের ‘মেগাস্টার লাইভ কনসার্টে’। আমি এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট। আমাদের প্রোগ্রামের সব টিকেট অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো। সেই সময় টুটুল ভাই, এন্ড্রু কিশোর ও লিজা (ক্লোজআপ) এসেছিলেন আমার বাসায়। সেই দিনটির কথা এখনো মনে পড়ে। জমে আড্ডা দিয়েছিলাম আমরা। সেই থেকে যেখানেই দেখা হয়, প্রথমেই কোলাকুলি, তারপর জানতে চাইবে, খালু কেমন আছে (আমার শ্বশুর)। আমার শ্বশুরকে অনেক পছন্দ করেন। আমার বাসায় যখন এসেছিলেন তখন উনার সাথে অনেক কথা হয়। তখন থেকেই তাঁর সাথে পরিচয়।

এখানে একটু কথা লিখতেই হয়। চ্যানেল আই আয়োজিত ‘খুদে গানরাজ’, চ্যানেল আইয়ের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সেরা কণ্ঠ’ এবং এনটিভি টেলিভিশনের ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা শেষ হলে প্রথম শো করতে আসেন আমেরিকা। এই সব অনুষ্ঠান আমরা ‘ওরা এগারো জন’ ওয়াশিংটন ডিসি সংগঠনের মাধ্যমে সফলতার সাথে করেছি এবং প্রত্যেকটি শো ঝঙখউ ঙটঞ টিকিট ছিলো।

গত ৬ সেপ্টেম্বর হোপফুল হ্যান্ড এবং জোনাস মাল্টিমিডিয়ার যৌথ উদ্যোগে গান গাইতে ভার্জিনিয়া আসলেন, গান পরিবেশন করলেন। অনুষ্ঠান শেষে কুশল বিনিময়ের পরে একটা ছবি তুলে নিলাম। সব সময় ছবি তুলি কিন্ত কিছুই লিখি না। আজ ভাবলাম কিছু একটা লিখি এই গুণী শিল্পীর জন্যে।

টুটুল সংগীতকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যদিও তিনি পিয়ানোর ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তবুও তিনি বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন। টুটুল নিজেই একজন শব্দ প্রকৌশলী। টুটুল মূলত এল আর বি ব্যান্ডের একজন সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ফেস টু ফেস নামে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন, যা ২০০৫ সালে ধ্রুবতারা ব্যান্ড নামে আত্মপ্রকাশ করে। তিনি আইয়ুব বাচ্চুর সাথে সাথে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আর এই কাজের সম্মাননা হিসেবে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ নামক চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার জন্যে তিনি ২০০৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র সেরা সঙ্গীত পরিচালকের এবং ২০১০ সালে সেরা প্লেব্যাক সঙ্গীত শিল্পীর পুরস্কারে ভূষিত হন (ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না) চলচ্চিত্রে। ২০১৫ সালে আবারও দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন (বাপ জানের বায়োস্কোপ) চলচ্চিত্রে সেরা প্লেব্যাক সংগীত শিল্পী ও সেরা সুরকার হিসেবে। এছাড়া তিনি ভারতের চেন্নাইয়ের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নিরন্তর’ চলচ্চিত্রের জন্যে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। তিনি দেশ বিদেশে অনেক অনেক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, যা লিখেও শেষ করা যাবে না।

এস আই টুটুল ভাই, আপনার কাজ, ভালোবাসা দিয়ে আরও উপরে চলে যাবেন একদিন। আপনার জন্যে নিরন্তর শুভ কামনা।

ড. আব্দুস সাত্তার : কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক, ওয়াশিংটন ডি সি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়