প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩, ০০:০০
টিকে থাকাতেই খুঁজি সার্থকতা

আজ চাঁদপুর কণ্ঠের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৩০ বছরে পদার্পণ। ‘বস্তুনিষ্ঠতাই মূলনীতি, পাঠকপ্রিয়তাই মূলধন’ প্রতিপাদ্যে চাঁদপুর কণ্ঠ নিরবচ্ছিন্ন প্রকাশনার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছে এতোগুলো বছর। কীভাবে সেটা সম্ভব হলো ভাবতেই বিস্ময়ের ঘোরে আবর্তিত হতে হয় আমাদের। নিঃসন্দেহে পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অফুরন্ত ভালেবাসা ও সমর্থনেই চাঁদপুর কণ্ঠ সামনে এগিয়ে চলছে। পেছন ফিরে তাকালে আমরা অনেক কিছু করে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে চাঁদপুর কণ্ঠ সেটা বলার আত্মম্ভরিতা প্রকাশের সুযোগ খুঁজে পাই না। তবে টিকে থাকার সার্থকতা যে খুঁজে পাই, সেটা স্বীকার করছি অকপটেই।
|আরো খবর
প্রবল বর্ষণমুখর রাত শেষে ১৯৯৪ সালের ১৭ জুন সুন্দর সকালে সাপ্তাহিক হিসেবে চাঁদপুর কণ্ঠের যাত্রা। এ যাত্রায় ছিলো না কোনো আনুষ্ঠানিকতা ও আড়ম্বরপূর্ণ কোনো আয়োজন। প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের চাঁদপুর শহরস্থ বকুলতলা রোডের টিনশেড ঘরের একটি কক্ষে ক’জন নিবেদিতপ্রাণ কর্মীর হাতে তুলে দেয়া হয় পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যা, যাদের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়ে পুরো চাঁদপুর শহর ও জেলার আনাচে-কানাচে। সম্পাদক হিসেবে ইকবাল-বিন-বাশার এবং বার্তা সম্পাদক হিসেবে মির্জা জাকির স্বয়ং পত্রিকার প্রথম সংখ্যাটি তুলে দেন পাঠকের হাতে। তারপর নিরবচ্ছিন্ন প্রকাশনায় চাঁদপুর কণ্ঠ হয়ে যায় অবিরাম, অপ্রতিরোধ্য। ১৯৯৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর পত্রিকাটি দৈনিকে উন্নীত হয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করে আলোড়ন সৃষ্টিতে সক্ষম হয়। তারপর প্রায় দেড়মাস বিরতি দিয়ে ১৯৯৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ৫২ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক সংখ্যার মধ্য দিয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের অবিরাম প্রকাশনা চলতে থাকে। তারপর নির্ধারিত ছুটি ছাড়া বিগত ২৪ বছর ৪ মাস ১৬ দিন যাবৎ পত্রিকাটি প্রলয়ঙ্করী বন্যা, সিডর, আইলাসহ সকল বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেও দৈনিক হিসেবে স্বীয় প্রকাশনা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই সক্ষমতার জন্যে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতা’লার দরবারে আদায় করছি বিশেষ ও অশেষ শোকরিয়া। উচ্চারণ করতে চাই, শোকর আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই চাঁদপুর কণ্ঠ কোনো কর্পোরেট সংস্থা, রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তির মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে না। যার ফলে পত্রিকাটির যাত্রাপথ মসৃণ নয় এবং সেহেতু অগ্রযাত্রা প্রতিকূলতাপূর্ণ। চাঁদপুরের ইতিহাসে প্রথম দৈনিক হিসেবে চাঁদপুর কণ্ঠ শুধু নিজের নামটিই লিখায়নি, বস্তুনিষ্ঠতা ও পাঠকপ্রিয়তায় বিগত ২৯ বছর ধরে প্রচার সংখ্যায় শীর্ষস্থানটিও দখল করে রেখেছে। এটা অবশ্যই গৌরবের। প্রিন্টিং ও অনলাইন সংস্করণ মিলিয়ে সারাবিশ্বে চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক সংখ্যা কয়েক লাখ। এতে আত্মতৃপ্তিতে ঢেঁকুর তোলার ফুরসত নেই, কারণ আরো অনেক পথ যে এখনো বাকি। এ পথটুকুন পাড়ি দেবার পথে তিরিশ বছরপূর্তির হাতছানিকে মনে হচ্ছে অনেক অনেক রোমাঞ্চকর।
আজ চাঁদপুর কণ্ঠের ২৯ বছরপূর্তি ও ৩০ বছর পদার্পণে সকল চাঁদপুরবাসী, সংবাদপত্র বিক্রেতা, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সর্বোপরি সকল পাঠককে জানাচ্ছি অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর আন্তরিক দোয়া চাইছি, যাতে আমরা তিরিশ বছর তথা তিন দশকের রোমাঞ্চকর মাইলফলক সাফল্যের ঔজ্জ্বল্যে সুন্দরভাবে স্পর্শ করতে পারি এবং অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জকে ভালোভাবে গ্রহণ করার সাহস ধারণ করতে পারি।