শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩৩ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১৬

চাঁবিপ্রবি'র উপাচার্য বাবা, প্রশ্ন ওঠায় যোগদানের ৩ দিনের মাথায় ছেলের পদত্যাগ

চাঁবিপ্রবি'র উপাচার্য বাবা, প্রশ্ন ওঠায় যোগদানের ৩ দিনের মাথায় ছেলের পদত্যাগ
স্টাফ রিপোর্টার

চাকরিতে যোগদানের ৩ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁবিপ্রবি)-এর মেডিকেল অফিসার ফাতিন ইলহাম বিন পেয়ার। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদ।

বুধবার (১৩ আগস্ট ২০২৫) পদত্যাগ করেন ফাতিন। এর আগে গত ১০ আগস্ট তাকে এই পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরের দিন ১১ আগস্ট তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ ১৫ ক্যাটাগরিতে মোট ৩৪টি পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তির ৭ নম্বরে থাকা মেডিকেল অফিসার পদে ২৩ জন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে দুজনের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। পরে কাগজপত্র যাচাই শেষে ২১ জনকে প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত করা হয়।

এই ২১ জনের মধ্যে ১৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে ৯ আগস্ট লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ১০ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্যে নির্বাচিত করা হয়। তাদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদের ছেলে ফাতিন ইলহাম বিন পেয়ারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একান্ত ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বুধবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্যে আবেদন করেন ফাতিন। পরে অব্যাহতিপত্রটি বিবেচনায় নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং তাকে ওই দিনই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফাতিন বেসরকারি এমএইচ শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদের ছেলে।

উপাচার্য বলেন, আমার ছেলে নিজ যোগ্যতায় পরীক্ষার মাধ্যমে যোগদান করেছে। উপাচার্যের ছেলে হওয়ায় তার নিয়োগ নিয়ে যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে, তাই আমার ছেলে আমার সুনাম রক্ষার্থে পদত্যাগ করেছে। আমিও এতে সম্মত হয়েছি। তবে এই নিয়োগে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না।

তিনি আরও বলেন, মেডিকেল অফিসার পদে আমার ছেলে প্রার্থী হওয়ায় আমি লিখিতভাবে আরেক জনকে সভাপতি বানিয়েছি। আমার ছেলে লিখিত এবং ভাইভাতে প্রথম হওয়ায় নিয়োগ পেয়েছে। এখানে স্বজনপ্রীতির কোনো বিষয় নেই। নিয়োগে আমার কোনো প্রভাব ছিলো না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়