প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৩১
অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ফরিদগঞ্জের এক পল্লী চিকিৎসক ও তার পরিবার
জিআই তারে বৈদ্যুতিক সংযোগে ভয়ঙ্কর মৃত্যু ফাঁদ
বৈদ্যুতিক মিটার থেকে সংযোগ দিয়ে একটি জিআই তার দ্বারা ঘরের দরজার চারপাশে ছড়িয়ে দিয়ে ভয়ঙ্কর মৃত্যু ফাঁদ রচনা করেছিলো দুর্বৃত্তরা। হয়তোবা টার্গেট ছিলো বিদ্যুতায়িত করে একজন বা সপরিবারে একটি পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। কিন্তু ‘রাখে আল্লাহ মারে কে?’ — সেই প্রবাদবাক্যেরই প্রতিফলন ঘটলো ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামে। অবধারিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তি স্থানীয় কুঠির বাজারের পল্লী চিকিৎসক আনিসুর রহমান।
|আরো খবর

রোববার (১২ অক্টোবর ২০২৫) রাতে এই জঘন্য ঘটনা উদঘাটিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা দ্রুত মিটার থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই “মৃত্যু ফাঁদ” বন্ধ করেন।
এ ঘটনায় সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫) রাতে আনিসুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
আনিসুর রহমান জানান, তিনি সাহেবগঞ্জ গ্রামের স্থানীয় কুঠির বাজারে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন। রোববার রাত ১১টার দিকে দোকানের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ঘরে প্রবেশের পূর্ব মুহূর্তে তার পায়ে কিছু একটি আটকে গেলে
হঠাৎই বৈদ্যুতিক শকের মতো আঘাত পেয়ে তিনি ছিটকে পড়েন। হতচকিত হয়ে তিনি ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে তারা আলো জ্বেলে পুরো ঘটনাটি উদঘাটন করেন।
তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা তার ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার থেকে একটি লাইন বের করে জিআই তার দিয়ে ঘরের সামনে ছড়িয়ে রাখে। তার ধারণা, এই তারে জড়িয়ে তিনি কিংবা তার পরিবারের সদস্য—মা, স্ত্রী ও সন্তানসহ—বিদ্যুতায়িত হয়ে চিরতরে শেষ হয়ে যেতেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, “ঘটনা শুনে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। এরপর পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা এসে দ্রুত বিদ্যুৎ লাইনটি বিচ্ছিন্ন করেন।”
সোমবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই নুরুল আলম বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক তদন্ত করেছি। সন্ধ্যার পর আনিসুর রহমান থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডিসিকে /এমজেডএইচ