সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৩

বাহরাইনে যৌথ ব্যবসায় প্রতারণার অভিযোগ, সর্বস্ব হারিয়ে দেশে আটকা রিপন

প্রবাসী যুবকের দেড় কোটি টাকার ব্যবসা চার মাসে শেষ!

হাজীগঞ্জ ব্যুরো
প্রবাসী যুবকের দেড় কোটি টাকার ব্যবসা চার মাসে শেষ!

ক্যাপশন: বাহরাইনে সর্বস্ব খোয়ানো যুবক রিপন।
ছবি : চাঁদপুর কণ্ঠ।

বাহরাইনে যৌথ ব্যবসা, মূলধন প্রায় দেড় কোটি টাকা। অংশীদারকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে ছুটিতে দেশে আসেন রিপন। এর মধ্যে পার্টনার সব কিছু নিজের নামে করে রিপনের ভিসাটি বাতিল করে দেন। ফলে দেড় কোটি টাকার ব্যবসা তো গেছেই, পাশাপাশি বাহরাইনে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে রিপনের।

এমন অভিযোগ রিপন আর রিপনের পরিবারের।

অভিযুক্ত আরিফ খান রিপনের বাড়ির সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তবে রিপনের অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা আর বানোয়াট বলে মুঠোফোনে বাহরাইন থেকে আরিফ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

তাদের বাড়ি হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামে। এ গ্রামের আস্কর খান বাড়ির সিরাজুল হকের ছেলে রিপন খান ও আরিফ খান একই বাড়ির নূর মোহাম্মদ খানের ছেলে।

প্রতারণার শিকার রিপন খান ন্যায় বিচারের আশায় সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত রিপন জানান, ২০২২ সালে বাহরাইনে সরকারি অনুমোদন নিয়ে আমি বনলতা এক্সপ্রেস সার্ভিস নামে একটি কোম্পানি খুলি।

যার লাইসেন্স নম্বর ১৬০৫২০। কোম্পানিতে আমার ৯০% এবং ভারতীয় ফাতেমা ও শ্রীলংকার আশাংকা নামের দুজনের ৫% করে মোট ১০% মালিকানা ছিলো।

পরবর্তীতে আমার সাথে ব্যবসায়িক পার্টনার হন আমার বাড়ির চাচাতো ভাই আরিফ খান।

এরপর দুজনে মিলে চলতি বছর রিপন পাবলিসিটি এন্ড অ্যাডভ্যাটাইজমেন্ট, রিপন ক্লিনিং কোম্পানি ও রিপন ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি নামে আরো তিনটি শাখা স্থাপন করি।

সব মিলিয়ে আমাদের মূলধন হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা।

রিপন আরো বলেন, আমি দেশে আসলে আরিফ এবং আরিফ দেশে আসলে আমি ব্যবসা পরিচালনা করতাম। গত ৪ মাস আগে দেশে আসি। এর পরেই আমার পুরো ব্যবসা আরিফ তার কব্জায় নিয়ে নেয় এবং সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে আমার ভিসা বাতিল করে দেয়। যা আমি ম্যাসেজের মাধ্যমে জানতে পারি। পরে বিষয়টি নিয়ে আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছি।

এছাড়াও তার (আরিফ) পরিবারের সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছি।

এ ঘটনায় আমি জেলা প্রশাসক, প্রবাসী কল্যাণ অফিস, ইউএনও, থানা ও আর্মি ক্যাম্পে অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ সময় রিপনের বাবা সিরাজুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে পথে বসিয়ে দিয়েছে আরিফ। আপনাদের মাধ্যমে আমরা তার বিচার এবং আমার ছেলের ব্যবসা ফিরে পেতে চাই।

এদিকে বাহরাইনে অবস্থানকারী আরিফ খানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,

রিপন ও আশাংকা নিজ নিজ দেশে চলে যাওয়ার সময় তারা দুজনে ভারতীয় ফাতেমাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে যায়।

পরবর্তীতে এই ফাতেমাই তার (রিপন) ভিসা বাতিল করে। এখন ফাতেমার সাথে তার কী হয়েছে না হয়েছে সেটা তাদের বিষয়।

এখানে আমার নাম আসবে কেনো?

এ সময় আরিফ আরো বলেন, তার (রিপন) অনুরোধে আমি তাকে আমার কোম্পানিতে চাকরি দেই।

যখন আমি ছুটিতে দেশে আসতাম তখন আমার ব্যবসা দেখার জন্যে তাকে দায়িত্ব দিয়ে আসতাম,

তখন সে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়তো।

সে আমার স্টাফ হয়ে কমিশন খেতো এবং আমি ছুটিতে থাকাকালীন মাসগুলোতে সে ব্যবসা কম দেখাতো।

তার কারণে আমি ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ বিষয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে অভিযোগও দিয়েছি।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়