প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০১:২৭
নয় মাসেও শেষ হচ্ছে না রায়পুরের মেঘনা বেড়িবাঁধ সড়কের কাজ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের হাজিমারা স্লুইসগেইট এলাকার মোড় থেকে সদর উপজেলার ইটেরপুল পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। গত নয় মাস ধরে চলা সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় খানাখন্দ আর কাদায় ভরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজারো মানুষ। বর্ষার কাদা ও শুষ্ক মৌসুম ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের জীবন।
|আরো খবর
জানা গেছে, এলজিইডির আওতাধীন রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের হাজিমারা স্লুইসগেইটের মোড় থেকে ১২ কিলোমিটার সড়ক পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর। কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের ৩ জুন। ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৭১৮ টাকা ব্যয়ে ‘সড়ক যথাযথ মানে উন্নীত ও মজবুতকরণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় মেসার্স এম রিশাদ জেবি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তাদের ইচ্ছামতো সড়কের কাজ করছেন। এতে চরম দুর্ভোগে চলাচলকারীরা।
চরকাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোল্লারহাট বাজার ব্যবসায়ী রাশেদ মাল বলেন, বৃষ্টির সময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গেলে কাদাপানিতে ভিজে পোশাক নষ্ট হয়ে চেনার উপায় থাকে না। আবার শুকনো মৌসুমেও ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় চলাচলে দুর্ভোগ তৈরি হয়। রাস্তাটি সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানাই।
দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হারুনুর রশীদ হাওলাদার বলেন, সড়কের ওই অংশ দিয়ে যেসব শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী আসছে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভ্যান ও অটোরিকশা অথবা মোটরসাইকেলে আসতে হয় শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা হয়।
মিয়ারহাট ও মোল্লারহাটের শিক্ষার্থীরা জানায়, হেঁটে ১০ মিনিটের পথ বৃষ্টি হলে এক ঘণ্টায়ও পৌঁছানো যায় না। বাধ্য হয়ে অটোরিকশা করে যেতে হচ্ছে। এতে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে।
দক্ষিণ চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরাজী বলেন, উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ বেড়িবাঁধ সড়কটি সংস্কার কাজে দেরি হওয়ায় চলাচলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ শেষ করার ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন।
দক্ষিণ চরবংশী এলকেএইচ উপকূলীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, মেঘনা নদীর উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের উপজেলা ও জেলা সদরে যোগাযোগের প্রধান সড়ক এটি। গত নয় মাস ধরে সড়কটি ১২ কিলোমিটার খোঁড়া অবস্থায় রয়েছে। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
রায়পুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সুমন মুন্সি বলেন, টানা বর্ষণের কারণে কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। ঠিকাদারকে কাজটি দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খাঁন বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কাজের ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সড়কটি সংস্কার কাজ শেষ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।