বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ০৯:২৭

নীরবেই চলে গেলেন সংগীতপ্রেমী, কণ্ঠশিল্পী টুটুল আচার্যী

সংস্কৃতি অঙ্গন প্রতিবেদন
নীরবেই চলে গেলেন সংগীতপ্রেমী, কণ্ঠশিল্পী টুটুল আচার্যী

চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনের একজন পরিচিত মুখ, সংগীতপ্রেমী, সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী টুটুল আচার্যী নীরবেই চলে গেলেন সংস্কৃতিপ্রেমীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে। প্রায় ৫ মাস পূর্বে চাঁদপুরে এক সময়ের সংগীতচর্চার নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব টুটুল আচার্যী ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পরলোকগমন করেন। হঠাৎ করেই তাঁর এই নীরবে চলে যাওয়াটা হয়তো চাঁদপুরের অনেকেরই অজানা। কারণ গত কয়েক বছর ধরে তিনি সপরিবারে ঢাকা যাত্রাবাড়িতে থাকতেন। সেখানে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গিয়ে তার শিষ্যদের সংগীতের তালিম দিতেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনে একজন সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গান গাইতেন।

তিনি ছিলেন চাঁদপুর সুরমালা সংগীত একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত কণ্ঠশিল্পী। তাঁর এই প্রয়াণে চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

টুটুল আচার্যী শুধু একজন সংগীতশিল্পী ছিলেন না, ছিলেন সংগীতের এক আলোকবর্তিকা। বাবুরহাটে প্রতিষ্ঠিত সুরমালা সংগীত একাডেমির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনেককে সংগীতের শিক্ষায় আলোকিত করেছেন। তাঁর হাতে গড়া শিক্ষার্থীরা এখনো বিভিন্ন স্থানে সংগীতচর্চায় জড়িয়ে আছেন।

চাঁদপুর বিজয় মেলা মঞ্চ, শিল্পকলা একাডেমি এবং জেলার অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন নিয়মিত ও শ্রদ্ধাভাজন কণ্ঠ।

এছাড়া একসময় চ্যানেল এস-এর জনপ্রিয় সকালবেলার অনুষ্ঠান ‘সুপ্রভাত’-এ সংগীত পরিবেশন করেন তিনি।

তিনি গানকে ভালোবেসেছিলেন আত্মার দাবি থেকে। পারিশ্রমিক বা জনপ্রিয়তার আশায় নয়, তিনি গান করতেন প্রাণ দিয়ে। তাঁর মধ্যে কোনো জৌলুষ ছিলে না, ছিলো মাটির গন্ধ, হৃদয়ের উষ্ণতা। সে কারণেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন আপনজন চাঁদপুরের প্রতিটি সুরপ্রেমীর মাঝে।

আজ তিনি নেই। কিন্তু চিরজীবী হয়ে থাকবেন তাঁর রেখে যাওয়া সংগীত শিক্ষা, আদর্শ ও অগণিত শিক্ষার্থীর অন্তরে। তাঁর সুর, তাঁর সাধনা, তাঁর প্রজ্ঞা চাঁদপুরের সংস্কৃতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়