বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   তীব্র গরম, দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৩১

শিশিরে ভেজা সকাল জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা

নাদিয়া রওশন
শিশিরে ভেজা সকাল জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা

শহুরে যান্ত্রিক জীবনে ভোরের আলোতে ঘুম ভাঙতেই জানালার পর্দা সরিয়ে চোখ চলে যায় কুয়াশা ভেজা গাছের পাতায়। শিশিরে পা ভেজানো শহুরে জীবনে আদিখ্যেতাই বটে। তাই কুয়াশা দেখেই মন জুড়ায় গৃহিণীরা। ধোঁয়া ওঠা এককাপ গরম চা দিয়ে সকালটা শুরু করতেই মনের কোণে শীত বরণের প্রস্তুতি উঁকি দিয়ে যায়।

শরতের শেষ, হেমন্তের শুরু, ভোরের কুয়াশা জানান দিয়ে যায় শীত একেবারে দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে। প্রকৃতি তার রুক্ষতা নিয়ে যতই চোখ ঠাউরে উঠুক, ঘরে ঘরে গৃহিণী মাত্রই দ্বিগুণ ব্যস্ততায় শীতকে দেখাতে চায় বৃদ্ধাঙ্গুলি। মাসিক বাজারের লিস্টে যুক্ত হয় মধু,আদা, লেবু দারচিনি, এলাচ,ক্রিম,লোশন,ভ্যাসলিন। প্রতিদিনের কাঁচা বাজারের ব্যাগটা রঙিন শাকসবজিতে ভরে উঠে।

অনেকেই সারা বছর শীতের অপেক্ষায় থাকেন, কারন শীতে ওজন কমানো খুব সহজ, এ সময় শাকসবজিতে আলাদা টেস্ট থাকে। সারা বছর আলমিরার পেছনে রাখা হালকা শীতের কাপড়, হালকা কাঁথা নামিয়ে, ধুয়ে শীত বরণের প্রস্তুতি শুরু হয়।

আতপ চাল গুঁড়া করে, নারকেল,গুড় কিনে টুকটাক পিঠা পুলি ও বানানো শুরু হয়। ষড়ঋতুর এই দেশে শীতের স্থায়িত্ব এখন খুবই কম। তবু ও শীত মানেই ছুটির আমেজ, বাচ্চাদের বার্ষিক পরীক্ষার পর ঘুরতে বেরুনো। শীতের শুরুতে গৃহিণীরা কিছু অগ্রিম প্রস্তুতি নিলে পরিবারের সদস্যদের সুস্থ রাখা সহজ। তেমনি শীতকে উপভোগ করাটাও যাবে মন ভরে। সামনেই বাচ্চাদের বার্ষিক পরীক্ষা,তাই তাদের সুস্থ থাকাটা এ সময়ে খুবই জরুরি।

প্রতিদিনের খাবার তালিকায় লেবু, মধু, কালোজিরা রাখা। হালকা সর্দি কাশিতে মধু, দারচিনি, এলাচ, কালোজিরা, তুলসী পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া। প্রতিদিন টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া। টক জাতীয় ফল খাবার তালিকায় রাখা। শীতের এ সময়টা থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া। প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করা, কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করা।

শীতের শুরুতেই ঘরদোর খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিলে যাদের ডাস্ট এলার্জি আছে তারা কিছুটা স্বস্তি পাবেন। শীতের পোশাক আশাক, লেপ কম্বল ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।

দুপুরের আগেই ঘরের কাজ কর্ম শেষ করে গোসল পর্ব শেষ করে ফেলা, সম্ভব হলে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করা। ভারী পর্দা,কার্পেট ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলা। শীতের সঙ্গী হিসেবে কিছু ইলেকট্রিক গ্যাজেট ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: গিজার, ইলেকট্রিক কেটলি, ওয়াটার হিটার,ফ্লাক্স, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন। শীতের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়,লেপ কম্বল তোষক,জাজিম এমন জিনিস কেনার প্রয়োজন হলে আগেই কিনে ফেলা। লেখক : নাদিয়া রওশন, উদ্যোক্তা, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়