শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৯

রায়পুরে মাদরাসার সামনে থেকে ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, দুইজনকে গণপিটুনি, মাইক্রোবাস আটক

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি।।
রায়পুরে মাদরাসার সামনে থেকে ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, দুইজনকে গণপিটুনি, মাইক্রোবাস আটক
মঙ্গলবার দুপুরে রায়পুরের পূর্ব কেরোয়া মোহাম্মদিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিতে আসা আটক মাইক্রোবাস।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মাদরাসার সামনে থেকে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এসে চালকসহ ওই যুবককে ধরে পিটুনি দিলে তারা পালিয়ে যায়। মাইক্রোবাসটি আটক করে পরে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ২০২৫) সকালে ১০টার দিকে রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেরোয়া মোহাম্মদিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় বিকেলে ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের মা ও সৌদি প্রবাসী নাছির উদ্দীনের স্ত্রী আয়শা আক্তার (৩৫) বাদী হয়ে লামছরি গ্রামের খোয়াজ আহাম্মদের ছেলে ও কেরোয়া ইউপির ৬ নাম্বার ওয়ার্ড জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি তারেক আজিজ (২৮) এবং একই এলাকার আবদুল মোতালেবের ছেলে সিহাব হোসেন (২০)সহ আরো অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে মাদরাসায় আসা যাওয়ার পথে উত্তক্ত করে আসছিলো একই এলাকার তারেক আজিজ। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ছাত্রী তার মায়ের সাথে মাদরাসায় আসে। এ সময় মাইক্রোবাস নিয়ে তারেকসহ ওই শিক্ষার্থীকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে এলাকাবাসীসহ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে মাইক্রোবাসের চালক সহ তারেককে ধরে পিটুনি দিলে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে আটক মাইক্রোবাস থানায় নিয়ে যায়।

মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইউনুস বলেন, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মাইক্রোবাসের চালকসহ তারেককে পিটুনি দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে আমরা জানতে পারি মেয়েটির সাথে তারেকের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তারেক শ্রমিক হওয়ায় মেয়েটি সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।

এ ঘটনায় তারেক মোবাইলে জানান, সুমাইয়া আক্তার জেনেশুনে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেছে। আমার অনেক টাকা নষ্ট করেছে। এখন প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় আমি এ ঘটনায় ঘটিয়েছি। আমার কোন দোষ নাই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দীন ভুঁইয়া বলেন, কেরোয়া গ্রামের দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন তারেক। কিশোরী এ ব্যাপারে তার অভিভাবক কিংবা মাদরাসার শিক্ষকদের জানিয়েছিলেন। আজ সুযোগ পেয়ে তারেকসহ দুজন ওই কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়