প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৪৮
মতলব উত্তরে মারামারি ও লুট মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য মনির গ্রেফতার

মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের গোপালকান্দি গ্রামে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে অসহায় পরিবারকে মারধর ও লুটের মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য মনির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তাকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরো বহু মামলা রয়েছে।
|আরো খবর
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এ ঘটনার পর ওই গ্রামের আ. হালিম বেপারীর ছেলে হাবুল বেপারী বাদী হয়ে একই গ্রামের আরিফ বেপারী, মনির হোসেন, টিপু বেপারী, সোহাগ বেপারী, জজ মিয়া, হাসান বেপারী, রাশিদা বেগম ও রত্না বেগমসহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বিবাদীদের সাথে জায়গা সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রায়সময় বাদীকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি প্রদান করে আসছে। এ বিষয়ে এলাকায় একাধিকবার স্থানীয় সালিস হয়। তারপরও বিবাদীরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্ত অমান্য করে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। বাদীর বাড়িতে বাউন্ডারি কাজ চলাকালে বিবাদীরা বাউন্ডারি কাজ করা থেকে বিরত রাখার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদান করে। গত বুধবার দুপুরে বাউন্ডারি কাজের লেবারসহ বাদী লেবার খরচ ও বাউন্ডারি কাজের মালামালের মূল্য পরিশোধের জন্য ২ লাখ টাকা নিয়ে বসতবাড়িতে আসামাত্রই বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেআইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, দা, লাঠি, ছোরা, ছেনী নিয়ে সজ্জিত হয়ে অনধিকারে বাদীর বসতবাড়িতে প্রবেশ করে আমাদেরকে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। বিবাদীদের গালমন্দ করতে নিষেধ করলে বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে।
বাদী হাবুল বেপারী বলেন, ওই ঘটনায় আরিফ বেপারী তার হাতে থাকা এসএস পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় বাড়ি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। জখমী স্থানে ৮টি সেলাই লাগে। টিপু বেপারী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে। অন্যান্য বিবাদী আমার সাথে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা জোরপূর্বক লুট করে নিয়ে যায়। আমার ডাক-চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা ফুলা, থেতলানো, রক্ত জমাট জখম করে। এ বিষয়ে কোনে মামলা মোকদ্দমা করলে আমাদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলেও হুমিক দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাফর বলেন, এই মামলার আসামী মনির হোসেনকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীকেও আটকের চেষ্টা চলছে।