প্রকাশ : ১২ মে ২০২৫, ০৯:৩৬
গেঁটে বাত হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

রোগটার নাম গাউট বা গেঁটে বাত। এই ধরনের বাত যা নিরাময় হয় না, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সুস্থ্য জীবনযাপন করা যায়। গাউট বা গেঁটে বাত এর ধরন
গাউট বা গেঁটে বাত দুই ধরনের : অপঁঃব ও ঈযৎড়হরপ.
কেন হয় এই বাত?
স্বাধারণত আমরা যে প্রোটিন খাই তা থেকে রক্তে খুব বেশি ইউরিক এসিড জমে না। এক ধরনের এনজাইম এই এসিড-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু বেশি পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করতে থাকলে একটি পর্যায়ে রক্তে ইউরিক এসিড জমতে শুরু করে এবং তা অস্থি-সন্ধিতে এক ধরনের ক্রিস্টাল আকারে থেকে যায়। ফলে সেই স্থানটি ফুলে ওঠে, গরম হয় ও ব্যথার উদ্রেক করে। একিউট গাউট যদিও ধরা পড়ে রাতারাতি, তবে এর প্রক্রিয়াটি শুরু হয় দীর্ঘ দিনের খাদ্যাভ্যাস অথবা জীনগত কারণে।
গাউট বা গেঁটে বাত থেকে বাঁচতে কী খাবেন?
* রুটি বা পরিমিত ভাত।
* দুধ (ননীমুক্ত)।
* ফল (বিশেষত : চেরি)।
* পেঁপে (কাঁচা পেঁপে অর্ধÑসেদ্ধকরে)।
* সবজি।
* মিঠা পানির মাছ।
* পুদিনা পাতার রস।
* তেঁতুলের শরবত এবং প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধপানি।
এই বাত থেকে বাঁচতে কি খাবেন না?
* মাংস, হৃৎপিণ্ড, কলিজা।
* ব্রয়লার মুরগি ও হাঁসের মাংস।
* সামুদ্রিক মাছ (ইলিশসহ) ও চিংড়ি।
* মাশরুম।
* এলকোহল।
* ডুবো তেলে ভাজা খাবার।
* ডিমের কুসুম।
* ডাল (বিশেষত, মসুর)।
* ছোলা।
* মাখন।
* মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চানাচুর।
* কোমল পানীয় ও আইসক্রিম।
* সবুজ শাক (বিশেষত : পালংশাক ও পুঁইশাক)।
* গাজর, মূলা, মটরশুটি, ফুলকপি ও পাতাকপি (ক্ষেত্রবিশেষে)।