জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্পের পঞ্চম পর্যায় শুরু জানুয়ারি থেকে

ড্যাফোডিল গ্রুপের ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত চাঁদপুর সদর উপজেলার দরিদ্র, কর্মহীন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে টেকসই জীবিকার আওতায় এনে স্বাবলম্বী করে তুলতে জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্প যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে।

যাকাতভিত্তিক তহবিল থেকে পরিচালিত এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিলো দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারী ও কিশোরীদের দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার সুযোগ বৃদ্ধি।

বিগত চারটি পর্যায় শেষ করে গত এক দশকে জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্প চাঁদপুরে টেকসই মানবিক উন্নয়নে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিগত চারটি পর্যায়ে তারা ১২ হাজারের অধিক পরিবারকে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ পরিবার টেকসই জীবিকার সুযোগ পেয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্পের ৫ কোটি টাকার মূলধন এখন ঘূর্ণায়মান তহবিল হিসেবে ২০ কোটি টাকার তহবিলে পরিণত হয়েছে।

বিগত চারটি প্রকল্পে জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ হাজার ৯০৫টি বিনিয়োগের মাধ্যমে ৮০ ভাগ পরিবার কর্মসংস্থানে যুক্ত হয়েছে, ৪৭ ভাগ পরিবার মাসিক ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার আয়ে মধ্যবিত্তে উন্নীত হয়েছে, ৭০ ভাগ সদস্য সুদমুক্ত জীবনে আসতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৩৮ নারী ও কিশোরী পেয়েছে জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ, করোনাকালে ১১৫০ পরিবার পেয়েছে খাদ্য সহায়তা, ১৫ হাজার ৯৪০ রোগী ইউনুছ খান স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নিয়েছে বিনামূল্যে চিকিৎসা, ২৭৮টি কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রে ২৬৮ শিশু ধর্মীয় শিক্ষায় যুক্ত হয়েছে, ২৭৮ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। যার মধ্যে বর্তমানে ৯১ শিক্ষার্থী নিয়মিত সহায়তা পাচ্ছে। জরুরি সহায়তায় ৮৫ জনকে ১২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি উদ্যোগ, নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সহায়তা সর্বক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

বিগত চারটি পর্যায়ে সফলতার ধারা অনুযায়ী ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন জানুয়ারি ২০২৬ থেকে জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্পের ৫ম পর্যায় শুরু করতে যাচ্ছে।নএই ধাপে আরও ১২ শ' দরিদ্র ও সহায়তাপ্রার্থী পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটি সম্পূর্ণ যাকাত ভিত্তিক, কোনো ফি, সার্ভিস চার্জ বা লুকানো খরচ ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্পের ম্যানেজার। তিনি জানান, যেসব পরিবার প্রকৃতপক্ষে সহায়তাযোগ্য তাদের তথ্য ফাউন্ডেশনে জানাতে পারেন কেউ, যেন তারাও এই টেকসই জীবিকা কর্মসূচির সুফল পায়।