রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৪

হাসনাতের ৬০-১০০ টাকায় পেটচুক্তি ভাত বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া

স্টাফ রিপোর্টার ।।
হাসনাতের ৬০-১০০ টাকায়  পেটচুক্তি ভাত বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া

মাত্র ৬০ এবং ১০০ টাকায় মুরগির মাংস, ১টি সেদ্ধ ডিমের তরকারি, পেঁয়াজ দিয়ে আলু ভর্তা, ডাল, সালাদসহ পেটচুক্তি ভাত বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন চাঁদপুর শহর লাগোয়া পুরাণবাজার রঘুনাথপুর বেপারী বাজারের আবুল হাসনাত গাজী। একদিনে কেউ কেউ খেয়ে ফেলছেন ৭০০ গ্রাম চালের ভাতও। তবুও সব মিলিয়ে বেচাবিক্রিতে খুশি এ দোকানি।

জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই বাজারে গরু ছাগলের হাট বসে। একেবারেই কম হাসিল নেয়ায় এ হাটের জনপ্রিয়তা দেখে দূর দূরান্তের খেটে খাওয়া খামারি ও বেপারীরা গরু-ছাগল নিয়ে এসে এ হাটে বেচাকেনা করেন। দরদামে পছন্দের গরু- ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ে ভোর হতে দুপুর পর্যন্ত হাঁকডাকে জমজমাট থাকে এ হাট। আর এ সময়টাতে এখানে আসা ক্ষুধার্ত মানুষের কথা চিন্তা করেই হাট কর্তৃপক্ষ একেবারে কমদামে পেটভরে খাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি গরিবের হোটেল পরিচালনা করছে।

দোকানের কর্মচারীগণ জানান, সকাল হতেই দোকানটিতে চালসহ অন্যান্য উপকরণ বসিয়ে দোকানেই প্রকাশ্যে গরম গরম রান্না হয়। সেখানে ১ টুকরো ফার্মের মুরগী, আলু ভর্তা, ডাল, সালাদ দিয়ে আনলিমিটেড ভাত খেলে গুণতে হয় মাত্র ১শ’ টাকা, ফার্মের মুরগীর স্থলে পাকিস্তানি মুরগী দিয়ে খেলে দেড়শ' টাকা, এক টুকরো মাছ দিয়ে ১শ’ টাকা এবং আলুর ঝোলের ডিম সিদ্ধের তরকারি দিয়ে খেলে দিতে হয় ৬০ টাকা। অল্প টাকায় পেট ভরে খাওয়া যায় বিধায় দোকানটিতে সারাক্ষণই ভীড় লেগে থাকে।

এখানে খেতে আসা লোকজন জানান, একদম ঘরোয়া পরিবেশের মতো খাবার লাগছে। দামও সস্তা। ৪/৫ প্লেট ভাত অতিরিক্ত নিলেও দাম একই। তাই পেট ভরে খাওয়া যাচ্ছে। বাজারে এলে আমরা এ হোটেলেই সব সময় খাবার খাই।

গরিবের হোটেল পরিচালনাকারী আবুল হাসনাত গাজী বলেন, কখনও কখনও শুধু আনলিমিটেড ভাতই নয়, বরং ডাল ও ভর্তাও কয়েকবার নিজের হাতেই নিয়ে চেটেপুটে খাচ্ছে মানুষ। যা দেখে মানসিক তৃপ্তি পাই। এখানে আমার নেতৃত্বে ৪ জন কাজ করছে। এমন মহৎ উদ্যোগে জড়িত হতে পেরে ভালো লাগছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান বেপারী বলেন, বাজারটির গরুর হাটে আসা গরু যিনি কিনে তার জন্যে ৩শ’ টাকা ও যিনি বিক্রি করে তার জন্যে মাত্র ২শ’ টাকা হাসিল নেয়া হয়। এখানে দিনে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। বাজারটিতে যাতে সুশৃঙ্খলা ধরে রাখা হয় সে প্রত্যাশাই এখানে আসা লোকজনের। এই বাজারে আসা মানুষের সুবিধার্থে অচিরেই খাবারের ম্যানুতে আরও কিছু আইটেম যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষ যাতে সাধ্যের মধ্যে কম বাজেটেও ভালো খাবার খেতে পারে সে চিন্তা থেকেই আমরা হোটেলটি পরিচালনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়