প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৮
মতলব-দাউদকান্দি সড়কের বন্ধ কাজে সওজ বিভাগের মেরামত
মেরামত তেমন সুখকর নয়

দাউদকান্দি-মতলব সড়কের শ্রীরায়েরচর-ছেংগারচর অংশের কাজ বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠসহ স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তারপর নড়েচড়ে বসেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এ বিভাগ মানুষের দুর্ভোগ নিরসনের জন্যে বিভাগীয় মেরামত শুরু করেছে । তবে মেরামতের উদ্যোগ তেমন সুখকর নয়। কারণ সড়কের ঠাকুরচর মোড় থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত গর্তগুলো ভরাট করে রোলার দিয়ে সমান করা হবে।
|আরো খবর
২০২০ সালের ১ জুলাই শুরু হয় শ্রীরায়েরচর-ছেংগারচর সড়ক প্রকল্পের কাজ। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। নির্মাণ সামগ্রী সড়কে পড়ে থাকলেও ঠিকাদার ও তার লোকজন নেই। খারাপ অবস্থায় সড়কটি পড়ে থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠেছে ।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে জানা যায়, এ সড়কের মতলব অংশের দৈর্ঘ্য ১০.৫০০কিলোমিটার। সড়কের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে ৫.২০০ কিলোমিটার।৪.৮০০কিলোমিটারের কার্পেটিং বাকি। ছেংগারচর থেকে শিকিরকান্দি স্কুলের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশে কাজ শেষ হয়নি। মোট কাজের ৭৫% শেষ হয়েছে এবং ২৫% কাজ বাকি আছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ঠিকাদারের লোকজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কাজটি বন্ধ রয়েছে। শেষ করা যাচ্ছে না। মানুষের দুর্ভোগ নিরসনের জন্যে সড়কের বিভাগীয় মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। ঠাকুরচর মোড় থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত গর্তগুলো পুরিয়ে দেয়া হবে। রোলার দিয়ে উঁচু-নিচু জায়গাগুলো সমান করা হবে। সম্পূর্ণ কাজ শুরু হবে ঠিকাদার নিয়োগের পর।
অটোরিকশা চালক কবির হোসেন বলেন, আমরা এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে পারি না। রাস্তা খারাপের কারণে যাত্রী এখান দিয়ে আসে না। আমাদের রোজগারও কমে গেছে। তারা কাজ শেষ করে আমাদের বাঁচাতে হবে।
সচেতন মহল মনে করছেন, সড়কের ঠাকুরচর মোড় থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত গর্তগুলো পুরিয়ে রোলার দিয়ে উঁচু-নিচু জায়গাগুলো ঠিক করা হলে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের দুর্ভোগ শেষ হবে না। সম্পূর্ণ কাজটি দ্রুত শেষ করতে হবে।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থেকে সড়কটি মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে। ঠাকুরচর মোড় থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত গর্তগুলো পুরিয়ে দেয়া হবে। রোলার দিয়ে উঁচু-নিচু জায়গাগুলো ঠিক করা হবে।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্যে মেরামত করে দিচ্ছি। আমরা ঠিকাদার ও তার প্রতিনিধিকে খুঁজে পাচ্ছি না। ঠিকাদারের কাজের চুক্তি বাতিল করার জন্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । তারা চুক্তি বাতিল করলে নতুন প্যাকেজ তৈরি করে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করতে পারবো। এটা সময় সাপেক্ষের ব্যাপার।