বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ১৬:৫৬

ধান চাষিদের জন্য ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন চালু

হেল্পলাইন নম্বর : ০৯৬৪৪৩০০৩০০

অনলাইন ডেস্ক
ধান চাষিদের জন্য ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন চালু

ধান চাষিদের সমস্যা সমাধানে নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। দেশের যে কোনো প্রান্তের কৃষক এখন ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইনে ফোন করে আবহাওয়া, ধানের রোগবালাই, পোকামাকড়, আগাছা নিয়ন্ত্রণ, সার ব্যবস্থাপনা ও জাত নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাবেন।

বুধবার (২৫ জুন ২০২৫) গাজীপুরে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এ সেবার উদ্বোধন করেন ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান।

ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, গাজীপুরে ব্রি’র এগ্রোমেট ল্যাবের তত্ত্বাবধানে চালু হওয়া এই হেল্পলাইনে ফোন করে কৃষকেরা এখন ধানের রোগবালাই, পোকামাকড়, আগাছা নিয়ন্ত্রণ, সার ব্যবস্থাপনা, জাত নির্বাচন এমনকি প্রতিদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্যও জানতে পারবেন। হেল্পলাইন নম্বর : ০৯৬৪৪৩০০৩০০।

ব্রি’র মহাপরিচালক বলেন, ধান চাষ শুধু কৃষকের জীবন-জীবিকা নয়, এটি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি। কিন্তু কৃষকের সামনে চাষাবাদের প্রতিটি ধাপে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আসে- আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন, রোগবালাই, পোকামাকড়ের আক্রমণ কিংবা সারের সঠিক প্রয়োগ। এসবের সমাধানে সময়োপযোগী পরামর্শ জরুরি। ব্রি-এর ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন চালুর মাধ্যমে আমরা কৃষকের দোরগোড়ায় সেই পরামর্শ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।

খালেকুজ্জামান বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি ও প্রযুক্তিনির্ভর চাষাবাদের যুগে প্রবেশ করতে হলে কৃষকের হাতের নাগালে তথ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের এগ্রোমেট ল্যাব অত্যন্ত কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। শুধু হেল্পলাইন নয়, ভবিষ্যতে অ্যাপ ও এসএমএসের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে আবহাওয়াভিত্তিক চাষাবাদ তথ্য পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।

এসময় গণমাধ্যম, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয় কৃষকের সব চাহিদা পূরণ করা। তাই মিডিয়ার মাধ্যমে এই সেবার তথ্য ছড়িয়ে দিলে দেশব্যাপী কৃষকেরা উপকৃত হবেন। সবাই মিলে কাজ করলে প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই কৃষি বাস্তবায়ন সম্ভব।

ব্রি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, হেল্পলাইনের মাধ্যমে কৃষকদের সার, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা, রোগপোকা দমন ও আবহাওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে আগাম ধারণা দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। সমস্যার ধরন অনুযায়ী অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে দিকনির্দেশনা দেবেন।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়