প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৫১
রায়পুর-লক্ষ্মীপুর বেড়িবাঁধের পাশের সড়কের গাছ গোপনে বিক্রির অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের সমিতিরহাট-হাওলাদার সড়কে ছায়াদানকারী প্রায় ৪০টি গাছ টেন্ডার ছাড়াই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ও যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু ফরাজি এবং একই ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ শেখ গাছগুলো এক লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করে তা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
গাছগুলোর ক্রেতা আবু তাহের সাংবাদিকদের জানান, “দুই মাস আগে মাসুদ শেখ আমার কাছে ৩২টি গাছ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আমি সুবিধা দেখে গাছ কেটে নিয়েছি। এতে আমি দোষী হলে, শাস্তি মেনে নেবো। এখনও পুরো টাকা দিইনি। ১০ হাজার টাকা মাসুদ শেখকে দিয়েছি, বাকি টাকা ইউনিয়ন পরিষদে দেওয়ার কথা।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, “টেন্ডার ছাড়া গাছগুলো বিক্রির সুযোগ নেই। অথচ আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতারা মিলেমিশে গাছ বিক্রি করে অর্থ লুট করেছেন।”
এ বিষয়ে চরবংশী ইউনিয়ন যুবদল নেতা মাসুদ শেখ বলেন, “সড়ক নির্মাণের সময় গাছগুলো ভেকু দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। জনগণের সুবিধার্থে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু ফরাজির অনুমতি নিয়েই বিক্রি করেছি। এখনো ক্রেতা পুরো টাকা দেয়নি। সমাজসেবার কাজ করতে গিয়ে যদি অপরাধ করে থাকি, তবে দায় স্বীকার করছি আমি।”
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মিন্টু ফরাজি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “রাস্তার পাশের গাছ বিক্রির অনুমতি কাউকে দেই নি। বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। তিনি গাছগুলো কেটে এক জায়গায় রাখতে বলেছেন। বিক্রির ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।”
রায়পুর উপজেলা বন ও রেঞ্জ কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক বলেন, এ গাছগুলো এনজিও প্রশিকা কর্তৃপক্ষ রোপণ করা হয়েছিলো। উপকারভোগীরা না নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতারা গাছগুলো কেটে নেয়া ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে প্রশিকা কর্তৃপক্ষ ও ইউএনও ভাল জানবেন।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান বলেন, “গাছ বিক্রির বিষয়ে জানি না। ইউনিয়ন পরিষদের গাছ কোনোভাবেই অনুমতি ছাড়া বিক্রি করার নিয়ম নেই।”