প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৫২
বাকিলাতে বসতঘর পুড়ে ক্ষতি ৩ লাখ টাকা

হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের মহেশপুরে আগুনে পুড়ে গেছে একটি বসতঘর। ঘরটিতে লোকজন না থাকাতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) দিনগত রাতে ঘটনাটি ঘটে ঐ গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম মিজির ছেলে মিজানুর রহমানের ঘরে। মিজানুর রহমানের অভিযোগ, তার ভাতিজা মাদক বিক্রেতা মুরাদ এ কাজ করেছে। ঘটনার দিন গভীর রাতে মুরাদ আমাকে ফোন করে উল্টা হুমকি দেয়া শুরু করেছে। থানাতে একটি অভিযোগের সূত্র ধরে মুরাদ এ কাজ করেছে। মুরাদ মৃত মমিন মিজির ছেলে। তবে মুরাদ পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মিজান জানান, প্রায় রাতে গাছ বেয়ে আমার প্রবাসী এক ভাইয়ের বাড়ির ছাদে উঠে মুরাদ তার সঙ্গী নিয়ে মাদক সেবন করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে সেই ভাইয়ের স্ত্রীকে মুরাদ তার সঙ্গী নিয়ে মারধর করে। যে কারণে ঐ ভাবী গত ৭ অক্টোবর দিনে থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সময় আমি ভাবীকে সহায়তা করার কারণে মুরাদ আমার ঘরে আগুন দেয় ও ফোন করে হুমকি দেয়। এতে করে আমার তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আর ঘরে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই। অভিযোগ পত্রে মুরাদের সাথে একই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মারুফ হোসেনকেও বিবাদী করা হয়েছে।
মিজান আরো জানান, সর্বশেষ গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে সাড়ে ১০ টার দিকে আমার বসত ঘরে আগুন দেয়া হয়। পরে দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভায়। এর কযেক ঘন্টা পরে গভীর রাতে মুরাদ আমাকে ফোন করে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
মুরাদের নামে অভিযোগকারী মুরাদের চাচী সেই নারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি, আর 'এসব লিখে কী লাভ' বলে স্থান ত্যাগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুরাদের পক্ষে মুরাদের এক নিকটাত্মীয় জানান, মুরাদের বাবার সম্পত্তির ন্যায্য হিসাব চাইতে গেলে চাচাদের সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তা থেকে মুরাদের নামে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে চাচারা। ঘটনার সময় মুরাদ হাজীগঞ্জে ছিলো।
বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন বলেন, আগুন লাগার খবর শুনে ঐ বাড়িতে গিয়ে দেখে এসেছি। আগুনে মিজানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, অভিযোগটির তদন্ত চলছে, আর আগুনের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।